ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় অন্তঃসত্ত্বা নারীকে পিটিয়ে হত্যার ২৭ বছর পর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোছা. শামসুন্নাহারকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১৪। শামসুন্নাহার জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার হুরবাড়ি গ্রামের জোবেদ আলীর মেয়ে। 

মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে র‍্যাব-১৪'র সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে সোমবার (৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

র‍্যাব-১৪ এর এএসপি বেলায়েত হোসেন বলেন, হুরবাড়ী গ্রামের জোবেদ আলীর ছেলে আব্দুল আউয়ালের সঙ্গে মনোয়ারা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে যৌতুকের জন্য মনোয়ারা বেগমকে নির্যাতন শুরু করে স্বামী। এ নিয়ে বিরোধের জের ধরে ১৯৯৪ সালের ১১ ডিসেম্বর রাতে অন্তঃসত্ত্বা মনোয়ারা বেগমকে স্বামী আব্দুল আউয়াল, বোন শামছুন্নাহার ও হাফেজা খাতুন এবং তাদের ভাতিজা সাইফুল ইসলাম পরস্পর যোগসাজসে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। 

পরে হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে মনোয়ারা বেগমের মুখে বিষ দিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালায় আসামিরা। ঘটনাটি মনোয়ারা বেগমের ভাই শহিদুল্লাহ'র সন্দেহ হলে তিনি একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত আসামি শামছুন্নাহারসহ এজাহারনামীয় সকল আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।

এএসপি বেলায়েত হোসেন আরও বলেন, সম্প্রতি আদালত যাবজ্জীবন সাজ্জাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি শামসুন্নাহারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে র‍্যাব-১৪ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শামসুন্নাহার দীর্ঘ ২৭ বছর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছদ্মবেশে পালিয়ে ছিলেন। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

উবায়দুল হক/এমএএস