আমিও বিদেশি ক্লাবে খেলবো : সাফজয়ী স্বপ্না
সাফ জয়ের ১০ দিন পর রংপুরে ফিরে খুশির সংবাদ জানিয়েছেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের অন্যতম খেলোয়াড় সিরাত জাহান স্বপ্না। বিদেশি ক্লাবে খেলার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে তারকা এই খেলোয়াড় বলেন, রংপুরের মানুষ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে দেখে আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি। এভাবে বরণ করে নেওয়া আমাকে সামনে ভালো করার জন্য অনুপ্রাণিত করবে।
স্বপ্না আরও বলেন, বিদেশি ক্লাবে খেলার জন্য মৌখিকভাবে ৭ জনকে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে আমার নামও রয়েছে। আমিও বিদেশি ক্লাবে খেলবো ইনশাআল্লাহ।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে বিমানযোগে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান সাফজয়ী ফুটবলার সিরাত জাহান স্বপ্না, সোহাগী কিসকো ও স্বপ্না রানী রায়। সেখানে তাদেরকে ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্মকর্তারা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
আরও পড়ুন : সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ : পুরুষতন্ত্রকেও হারাতে হয়েছে নারী ফুটবলারদের
এ সময় সিরাত জাহান স্বপ্না সাংবাদিকদের বলেন, যখন আমি প্রথম ফুটবল খেলা শুরু করেছিলাম, তখন এলাকার অনেকে বাধা সৃষ্টি করেছিল। আমাদের সমাজের পুরুষেরা চায় মেয়েরা একটু পিছিয়ে থাক। এখন আমার সাফল্যে তারাও আনন্দ প্রকাশ করছে। পরিবর্তন শুরু হয়েছে। সামনে আমাদের আরও ভালো করতে হবে।
অপর সাফজয়ী খেলোয়াড় স্বপ্না রানী রায় বলেন, শিরোপা ঘরে আনতে পেরে আমরা গর্ববোধ করছি। দেশের সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আরও ভালো কিছু করতে সবার সাপোর্ট চাই।
ঠাকুরগাঁওয়ের এই ফুটবলকন্যা আরও বলেন, ফুটবল খেলার শুরুতে অনেক বাধা এসেছে। হাফ প্যান্ট পরে মেয়েরা ফুটবল খেলছে বলে গ্রামের মানুষেরা কটূক্তি করেছে। এতেও আমরা থেমে থাকিনি। স্কুলপর্যায়ে খেলার সময় স্যারেরা অনেক সাপোর্ট করেছে। এখন সবাই উৎসাহ দিচ্ছে।
আরও পড়ুন : নারীদের জয়, ফুটবলের কি?
নারী ফুটবলার সোহাগী কিসকু বলেন, সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর গোটা দেশের মানুষ আমাদের চিনেছে। আমরা চাই গ্রামের নারী ফুটবলাররা যেন গ্রামে খেলার সুযোগ পায়।
এ সময় বিভাগীয় ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম, ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মঞ্জুর আহম্মেদ আজাদ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা জামান ববি, ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদার রহমান মিলন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজলী বেগম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনি, স্বপ্নার প্রথম ফুটবল প্রশিক্ষক হারুন অর রশিদসহ রংপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা এবং ক্রীড়ানুরাগী সংগঠকরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বিমানবন্দরে বরণের পর ছাদখোলা জিপ গাড়িতে সিরাত জাহান স্বপ্নাসহ তিন সাফজয়ী নারী ফুটবলারকে রংপুর নগরী প্রদক্ষিণ করানো হয়। এরপর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে তাদের সংবধর্না দেবে জেলা প্রশাসন, জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থা। বিকেলে সদর উপজেলার সদ্য পুস্করনী নয়াপুকুর স্টেডিয়ামে স্বপ্নাকে সংবর্ধনা প্রদানসহ প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর