নওগাঁর পত্নীতলায় দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে গৃহবধূ হালিমা আক্তার বৃষ্টি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা গেছেন তিনি। একই ঘটনায় হালিমার স্বামী রিপন মিয়া গুরুত্বর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

নিহত হালিমার মা আমেনা বেগম মুঠোফোনে বলেন, আমার জামাই রিপন মিয়া ও মেয়ে হালিমা বুধবার রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে গেলে কে বা কারা বাড়ির পেছনের জানালা দিয়ে ঘরের ভেতরে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন মুহূর্তের মধ্যে ঘরে ছড়িয়ে পড়লে তাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। ওই সময় প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই আমরা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুরে আমার মেয়ে মারা ড়েছে। জামাইয়ের অবস্থাও তেমন ভালো না।

তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি কীভাবে ঘটলো আমরা কিছুই জানিনা। এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাক না কেন, তাদের কঠিন শাস্তি চাই। 

এ ঘটনায় পত্নীতলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ বলেন, থানায় এখনও মামলা হয়নি। ঘটনাটি কীভাবে ঘটলো বা এর সঙ্গে কারা জড়িত সার্বিক বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি।

প্রসঙ্গত, বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে উপজেলার আমদাদপুর কমলাবাড়ী গ্রামে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে রিপন মিয়া (২৪) ও তার স্ত্রী হালিমা আক্তার মিষ্টি (২০) গুরুতর আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এমএএস