বাফার গুদাম থেকে সার আত্মসাতের সত্যতা পেয়েছে দুদক
পটুয়াখালীর বাফার গুদাম থেকে ৩৩৫.৯৫ টন ইউরিয়া সার আত্মসাতের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার পটুয়াখালী দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সাবেক উপ-পরিচালক মো. ওয়াজেদ আলী গাজী বাদী হয়ে পটুয়াখালী বাফার গুদামের প্রাক্তন ডিপো ইনচার্জ মো. হারুন অর রশিদকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
বিজ্ঞাপন
আসামী হারুন আর রশিদ বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার বালিয়াকাঠী (দরবেশবাড়ী) মৃত মো. হুজ্জত আলী হাওলাদারের ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৭ জুন থেকে ২০১৬ সালের ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত পটুয়াখালীর লাউকাঠীতে অবস্থিত বাফার গুদাম থেকে ৩৩৫.৯৫ টন সার আত্মসাৎ করা হয়। যার আমদানি মূল্য ৮২ লাখ ৮৮ হাজার ৮১৬ টাকা ৬৬ পয়সা।
২০১৬ সালে আসামি হারুন আর রশিদকে অন্যত্র বদলি করে উপ-ব্যবস্থাপক পদে মো. মশিউল ইসলাম কে পটুয়াখালী বাফার গুদামের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর হারুন আর রশিদকে গুদামের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার সময় ৩৮৭১.০৫০ টন ইউরিয়া সার মজুত থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে ৩৫০৩.৩৫০ টন সার মজুত পাওয়া যায়। এ সময় ৩৬৭.৭০০ টন সার ঘাটতি পাওয়া যায়। এ ঘটনায় দুদক দীর্ঘ তদন্ত শেষে দণ্ডবিধির ৪০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধরায় মামলা করেছে।
পটুয়াখালী দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সাবেক উপ-পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, দুদকের দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে মামলা করা হয়েছে। অধিকতর তদন্ত শেষে মামলাটি কোর্টে প্রেরণ করা হবে।
এসকেডি