পঁচা মাছে রং মিশিয়ে টাটকা বানিয়ে বিক্রি!
মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম মৎস্য আড়তে পঁচা মাছে রং মিশিয়ে টাটকা করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। অসাধু মাছের আড়তদাররা মাছে রং মিশিয়ে টাটকা বলে বিক্রি করছেন। এতে সাধারণ ক্রেতারা প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।
জানা গেছে, ওই আড়তে প্রতিদিন বরিশাল, ভোলা ও পটুয়াখালী থেকে শত শত মণ মাছ আসে। এ সমস্ত মাছে বরফ দেওয়া থাকলেও অনেক মাছ ঠিকমতো বরফ না হওয়ায় পঁচে যায়। আর অসাধু আড়তদাররা ওই মাছে রং মিশিয়ে বিক্রি করছেন।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দেখা গেছে, মিরকাদিম মৎস্য আড়তে বড় আকারের পঁচা পোয়া মাছে কাপড়ে ব্যবহত রং দেওয়া হচ্ছে।
এলাকাবাসী জানান, জেলার একটি বৃহত্তর মৎস্য আড়ত মিরকাদিম। এখানে দক্ষিণবঙ্গের বরিশাল, পটুয়াখালী ও ভোলাসহ অনেক জেলার মাছ আসে। এছাড়া সামুদ্রিক মাছও পাওয়া যায়। এখানে পঁচা ও নরম মাছগুলোতে প্রতিনিয়তই রং মেশানোর কারণে টাটকা দেখায়। মৎস্য আড়তের আশপাশে অস্থায়ী ব্যাগ বিক্রির দোকানদাররা রং বিক্রি করে থাকেন। মূলত পোয়া, চেউয়া, তুলার ডান্ডি, শিং, ইলিশ ও চিংড়ি মাছে রং বেশি মেশানো হয়ে থাকে।
পঞ্চসার ইউনিয়নের বাসিন্দা সিরাজ মিয়া বলেন, আড়তে আসি কম দামে মাছ কিনব বলে। এখানে বেশি মাছ একসঙ্গে কিনতে হয়। এর আগেও একবার আমাকে টাটকা পোয়া মাছ দিল। বাড়িতে নিয়ে জানতে পারি, মাছ পঁচা রং ওঠে। তার জন্য এখন হাতে ধরে, দেখে মাছ কিনি।
দেওভোগ এলাকার বাসিন্দা নাজির বলেন, আমি গত রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মাছ কিনতে মিরকাদিম মৎস্য আড়তে যাই। আমাদের সামনেই একজন আড়তদার পঁচা পোয়া মাছে রং মেশাচ্ছিলেন। জানতে চাইলে আড়তদার রেগে বলেন, আপনি জিজ্ঞেস করার কে?
মিরকাদিম মৎস্য আড়তের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, মৎস্য আড়তে যারা মাছে রং মেশানোর কাজ করে তাদের সর্তক করা হবে। আড়তের সুনাম নষ্ট করা যাবে না।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শামশুল করিম বলেন, আড়তে মাছে রং মেশানোর বিষয়টা দেখব। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ব.ম শামীম/এসপি