সন্তানের গলা চেপে ধরে মা, কুয়ায় ফেলে দেয় বাবা
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে আয়েশা খাতুন নামে দুই বছর বয়সী শিশুকে হত্যার অভিযোগে বাবা-মাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তারা হলেন, হালুয়াঘাট উপজেলার জুগলী ইউনিয়নের গিলাবই গ্রামে বাদশা মিয়া (৩৫) ও তার স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন (২৮)।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের তোলা হলে বিচারক তাজুল ইসলাম সোহাগ তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
সংশ্লিষ্ট আদালতের পরিদর্শক জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে নিজের শিশু সন্তানকে হত্যার বিষয়টি বিচারকের কাছে স্বীকার করে তার বাবা-মা। পরে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে নিহত শিশুর দাদি জুবেদা খাতুন বাদী হয়ে নিজের ছেলে বাদশা মিয়া ও তার স্ত্রী আম্বিয়া খাতুনকে আসামি করে হালুয়াঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হালুয়াঘাট থানা পুলিশের পরিদর্শক শাহীনুজ্জামান খান বলেন, ঘটনার দিন সকালের দিকে স্থানীয়রা পানির কুয়ায় শিশু আয়েশা খাতুনের মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে জানায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ১০ ফুট গভীর ওই কুপ থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর নিহত শিশুর মা আম্বিয়া খাতুন, বাবা বাদশা মিয়া ও মামা তোফাজ্জল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আটক আম্বিয়া খাতুন জানিয়েছেন গত সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে পারিবারিক দ্বন্দ্বে নিজের শিশু সন্তান আয়েশা খাতুনকে গলা টিপে হত্যা করেন। পরে শিশুর বাবা বাদশা মিয়া ঘটনা ধামাচাপা দিতে পানির কুয়ায় ফেলে দিয়ে ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে সকালের দিকে পানির কুয়ায় শিশু আয়েশা খাতুনের মরদেহ দেখে পুলিশকে জানায়।
পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
উবায়দুল হক/এমএএস