পার্লামেন্টে সত্য কথা বললেই স্পিকার বলেন, আপনার সময় শেষ
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হারুন অর রশিদ এমপি বলেছেন, ক্ষমতার মসনদে থেকে আওয়ামী লীগ বলে আমরা নাকি বেহেস্তে আছি, অচথ সেই মন্ত্রীকে এখনো মন্ত্রিপরিষদে রেখেছে আওয়ামী লীগ। এই সত্য কথাগুলো পার্লামেন্টে বলতে গেলেই স্পিকার বলেন আপনার সময় শেষ, আপনার সময় শেষ।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর বহুমুখী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সাদুল্লাপুর উপজেলা বিএনপির এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, সংসদে আমরা হাতে কয়েকজন এমপি। সেখানে কথা বলি মাত্র দুইজন। এই দুইজনের সত্য কথাগুলো তাদের সহ্য হয় না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের এক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন-আমি ভারতে গিয়ে বলে এসেছি, যে কোনো মূল্যে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকে রাখতে হবে। আমি বলি-ওটাই পাকাপোক্ত করতে ভারত সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একই সমাবেশে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য দেশের বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। স্বৈরাচার সরকার পতনে জনগণকে নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে বিএনপি।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নিত্যপ্রয়োজনী দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করে সাদুল্লাপুর উপজেলা বিএনপি। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ছামছুল হাসান ছামছুল
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক আনিছুর জামান খান বাবু, রংপুর বিভাগীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক ও সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম।
এছাড়াও গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ড. মইনুল হাসান সাদিক, সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুন নবী টিটুল ও সাদুল্লাপুর ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি আ স ম সাজ্জাদ হোসেন পল্টন বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশকে ঘিরে দুপুর থেকেই সাদুল্লাপুর উপজেলার ১১ ইউপি ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনেের শত শত নেতাকর্মী খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন।
এদিকে বিএনপির এই সমাবেশকে প্রতিহত করতে মাঠে সক্রিয় ছিল আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনেরে নেতাকর্মীরা। এ সময় নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। দুপুরে শহীদ মিনারের সামনে সড়কে বিএনপি প্রথমে একটি মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসার সময় বাধা দেয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
রিপন আকন্দ/এমএএস