কুড়িগ্রামে অন্যের শিশু সন্তানকে নিজের দাবি করে মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটানো স্কুলশিক্ষিকার বিরুদ্ধে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। ফলে আলোচিত স্কুলশিক্ষিকা আলেয়া সালমাকে  সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।

দীর্ঘ এক মাস অনুসন্ধানের পর গত ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা পোস্টসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেশীর সন্তান দেখিয়ে মাতৃত্বকালীন ছুটি ভোগ করার সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর নড়েচড়ে বসে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ। একই দিন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম তৌফিকুর রহমানকে দেওয়া হয় তদন্তের দায়িত্ব। 

দুদিনের টানা তদন্তে সংবাদের প্রাথমিক সত্যতা পায় তদন্ত কমিটি। পরে সেই শিক্ষিকাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। যা ৭ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে।

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তাই তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও এই ছুটি নেওয়ার বিষয়ে যারা ওই শিক্ষিকাকে সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে বিচার আওতায় আনা হবে। 

আলেয়া সালমা শাপলা কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার মনিয়ারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। তার স্বামী শফি আহমেদ স্বপন বগুড়ার গাবতলী উপজেলা কাগইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক। অভিযুক্ত শিক্ষিকা তার নিকটতম এক প্রতিবেশীর শিশুকে নিজের নবজাতক সন্তান দাবি করে চলতি বছরের ১৪ মার্চ থেকে ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটাচ্ছিলেন তিনি। থাকেন স্বামীর সঙ্গে বগুড়ার গাবতলী কাগইল ইউনিয়নের বাড়িতে। ওই শিশুটি তাদের প্রতিবেশী আনিছুর রহমান পাশা ও শারমীন দম্পতির সন্তান।

জুয়েল রানা/আরএআর