সীমান্তে থেমে থেমে গুলির শব্দ, আতঙ্কে স্থানীয়রা
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক কাটেনি। দুই দিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার ফের থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (০৬ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে তুমব্রু সীমান্তে থেমে থেমে গুলির শব্দে বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, তুমব্রু, বাইশফাঁড়ি, রেজু-আমতলী এবং আষাঢ়তলী সীমান্ত এলাকায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ। তিনি বলেন, সীমান্তে দুই দিন গোলাগুলি বন্ধ থাকায় মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছিল। কিন্তু হঠাৎ মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও গোলাগুলি শুরু হওয়ায় ভয়ে আছে সীমান্তের লোকজন। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
তুমব্রু সীমান্তের বাসিন্দা মাহমুদুল হক বলেন, দুই দিন বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে আবারও সকাল থেকে ভারী গুলি করা হচ্ছে। গুলির বিকট শব্দে এখানকার মানুষজনের মধ্যে ভয়ভীতি কাজ করছে। তবে আকাশে এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের হেলিকপ্টার বা যুদ্ধবিমান উড়তে দেখা যায়নি।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার (এসপি) তারিকুল ইসলাম তারিক বলেন, সীমান্তে আবারও গোলাগুলির খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে ভয়ভীতির কোনো কারণ নেই। আমরা সীমান্তে সর্তক অবস্থানে রয়েছি।
এর আগে ২৮ আগস্ট বিকেল ৩টার দিকে মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা দুটি মর্টারশেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় বান্দরবানের ঘুমধুমের ইউনিয়নের তমব্রু উত্তর মসজিদের কাছে পড়ে। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা এসে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঘুমধুম এলাকায় পড়ে।
সাইদুল ফরহাদ/এসপি