ফের কারাগারে ঝুমন দাস
ফের ফেসবুকে ধর্মীয় উস্কানিমূলক পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার ঝুমন দাস আপনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় হাজির করার পর সুনামগঞ্জের দিরাই-শাল্লা জোন আদালতের বিচারক মাহবুব ইসলাম এ আদেশ দেন।
বুধবার (৩১ আগস্ট) দুপুর ১টার পরে শাল্লা থেকে সুনামগঞ্জ আদালতে আনা হয় ঝুমনকে। পরে বিকেল ৩টার দিকে তাকে আদালতে তোলা হলে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
বিজ্ঞাপন
বিষয়টি নিশ্চিত করে সুনামগঞ্জ পুলিশের আদালত পরিদর্শক বোরহান উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ঝুমনকে আদালতে হাজির করা হলে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে হেফাজতের ‘শানে রিসালাত’ সমাবেশে তৎকালীন আমীর জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক আসার পরদিন ১৬ মার্চ মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে ‘উস্কানিমূলক’ স্ট্যাটাস দেন শাল্লার নোয়াগাঁওয়ের যুবক ঝুমন দাস।
এ ঘটনা নিয়ে উত্তেজিত হয়ে হেফাজত ইসলামের স্থানীয় সমর্থকরা ১৭ মার্চ হিন্দু অধ্যুষিত নোয়াগাঁওয়ে শতাধিক হিন্দু বাড়ি-ঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। যা সারাদেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। উস্কানিমূলক স্ট্যাটাসের দায়ে ঝুমনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় প্রায় ৭ মাস জেল খেটে জামিনে মুক্ত হয় ঝুমন।
জামিনে মুক্তির শেষ সময়ে এসে ফের গত ২৮ আগস্ট ফেসবুকে ধর্মীয় উস্কানিমূলক পোস্ট দেওয়ার অপরাধে ৩০ আগস্ট দুপুরে শাল্লা থানা পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে পোস্ট দেওয়ার বিষয় স্বীকার করলে রাতেই পুলিশ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ৩১ আগস্ট আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।
এমএএস