গলাচিপায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, আহত ৩৫
পটুয়াখালীর গলাচিপায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ভাঙচুর করা হয়েছে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের আসবাবপত্র। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) রাত থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিএনপির ৩৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত ১১ জনকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গুরুতর আহতরা হচ্ছেন, উপজেলার যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির ১ নং সদস্য মো. মোস্তাফিজুর রহমান মঈন, গোলখালী ইউনিয়ন শ্রমিকদল নেতা মো. গিয়াস উদ্দিন মোল্লা, বকুলবাড়িয়ার ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সাহেব আলী, ছাত্রদল নেতা রাকিব, জুবায়ের হোসেন, জলিল হাওলাদার, মো. শাহ আলম, মো. হায়দার আলী, রাশিদুল প্যাদা, রাশিদুল ইসলাম ও মো. জাকির হোসেন প্যাদা।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনার জন্য বিএনপি নেতারা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দায়ী করেছেন। অপরদিকে আওয়ামী লীগ এ ঘটনাকে বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিরোধের ঘটনা বলে দাবি করছে। এ নিয়ে গলাচিপাতে এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে, দেশব্যাপী আব্যাহত লোডশেডিং, জ্বালানি তেলের মূল্যে বৃদ্ধি এবং ভোলায় পুলিশের গুলিতে ছাত্রদলের নেতা নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম নিহতের প্রতিবাদে গলাচিপা উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে আজ বিকেল ৩টায় স্থানীয় কালিকাপুর এলাকায় সমাবেশেল আহ্বান করা হয়।
শুক্রবার বিকেলের দিকে জেলা নেতৃবৃন্দ ছাড়াই বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গলাচিপা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান খান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা, আব্দুস ছত্তার হাওলাদার, মাসুম বিল্লাহ, মশিউর রহমান শাহীনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
গলাচিপা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো. সিদ্দিকুর রহমান ও সদস্য সচিব আব্দুস ছত্তার হাওলাদার বলেন, আমরা যাতে সমাবেশ সফল করতে না পারি সে জন্য আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন মোড়ে লাঠিসোঠা নিয়ে অবস্থায় নেয়। পূর্বপরিকল্পিভাবে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের ৩৫ থেকে ৪০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে গলাচিপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা টিটো বলেন, এটা উপজেলা বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে ঘটেছে। বিএনপির নিজেদের দুই গ্রুপের মধ্যে বৃহস্পতিবার রাত থেকে সংঘর্ষ হয়েছে। এমনকি তাদের নিজেদের দলীয় কার্যালয়ও তারা ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কেউ জড়িত নয়।
এ ব্যাপারে গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ করার জন্য পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নেয়নি। এ ছাড়া বিএনপির ওপর হামলা ও আহত হওয়ার কোনো খবর তাদের জানা নেই।
আরআই