সেই যুবলীগ নেতা এবার তরুণীসহ ধরা
জুয়ার আসর থেকে গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগের কয়েক দিনের মধ্যেই পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আজিজুল গাফ্ফার এবার গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের ঘরে আশ্রয় নেওয়া এক তরুণীর সঙ্গে অনৈতিক কাজের সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছেন। বুধবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার চাঁদভা ইউনিয়নের বুয়ালপাড়া গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পে এ ঘটনা ঘটে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা ও স্থানীয়রা জানায়, মাকে সঙ্গে নিয়ে ওই তরুণী আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরে বসবাস করে আসছিলেন। প্রকল্পের ঘরে ওঠার পর থেকেই ওই তরুণীর সঙ্গে আজিজুল গাফ্ফারের অনৈতিক সম্পর্ক চলছিল। মাঝে-মধ্যেই রাতে-দিনে তিনি ওই তরুণীর কাছে আসা-যাওয়া করতেন। বিষয়টি অনেক দিন ধরেই প্রকল্পের বাসিন্দা ও স্থানীয়রা খেয়াল করছিল।
বিজ্ঞাপন
বুধবার বিকেলের দিকে হঠাৎ প্রকল্পের পেছনের দিক দিয়ে লুকিয়ে ওই তরুণীর ঘরে ঢোকে গাফ্ফার। এ সময় ওই তরুণীর বৃদ্ধ মা ঘরের বাইরে ছিলেন। বিষয়টি ঠিক পেয়ে প্রকল্পের বাসিন্দা ও স্থানীয়রা তাদের ঘরে তালা দিয়ে দেন। পরে আজিজুল গাফ্ফার তার নেতাকর্মীদের ফোন দিলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে স্থানীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা আজিজুল গাফ্ফার বলেন, ওই তরুণী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান করেন। ধানুয়াঘাটা হাটগ্রামের একটি অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার বিষয়ে কথা বলতে আমি তার বাসায় গিয়েছিলাম। এ সময় কিছু ভুল বোঝাবুঝির কারণে স্থানীয়রা গেটে তালা দিয়েছিল। বিষয়টি তেমন কিছু নয়। কিন্তু আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
আটঘরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি ছুটিতে থাকায় বিষয়টি আমার নজরে নেই। আমি ডিউটি অফিসারসহ থানার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে খোঁজখবর নিয়েছি। তারা এ বিষয়ে কোনো কিছু বলতে পারছে না। কেউ এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। যদি করে তবে অবশ্যই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পাবনা জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক শিবলী সাদিক বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। এখন পর্যন্ত আমাদের কেউ বিষয়টি জানায়নি। আপনার কাছ থেকেই প্রথম শুনলাম। আমি এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে আপনাকে জানাব।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জুলাই ভোর রাতে পাবনার আটঘরিয়ার দেবোত্তর বাজার যুবলীগের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে জুয়ার আসর থেকে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আজিজুল গাফ্ফারসহ ১৫ জনকে আটক করেছিল পুলিশ। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা কারাগারে পাঠানো হয়। সম্প্রতি তিনি জামিনে মুক্ত হয়েছেন।
রাকিব হাসনাত/এসপি