মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী নারী শিক্ষক সোনিয়া আক্তার স্পেনে থেকেও নিয়মিত বেতন তুলছেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, গত এপ্রিল মাস থেকে তিনি স্কুলে আসেন না। তবে এখনো প্রতি মাসে বেতন তুলছেন তিনি। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ সচেতন মহল ও স্কুল কর্তৃপক্ষ।
 
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার পূর্ব কাচিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী নারী শিক্ষক সোনিয়া আক্তার গত ২৮ মার্চ স্কুল থেকে দুই দিনের ছুটি নেন। এরপর থেকে আর স্কুলে আসেননি তিনি। তবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে তিনি প্রতি মাসে তুলে নিচ্ছেন বেতন-ভাতা।

শিক্ষিকা সোনিয়া আক্তারের বাড়ি গিয়ে স্পেনে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তার বাবা জাকির হোসেন ঢাকা পোস্টকে জানান, স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে সে তার স্বামীর কাছে স্পেনে গেছে। এতে তো কোনো সমস্যা নাই।

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জামিলা বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সোনিয়া আক্তার স্কুল থেকে দুই দিনের ছুটি নিয়েছেন। এরপর থেকে তার মুঠোফোনে শতবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগে ব্যর্থ হয়ে তার মেসেঞ্জার এবং হোয়াটসঅ্যাডে চেষ্টা করেও কোনো সাড়া মেলেনি।

স্কুলের তথ্যমতে, স্কুলটিতে বর্তমানে ৬ জন সহকারী শিক্ষক রয়েছেন। তবে পদ রয়েছে ৮ জনের। এখনো দুটি পদ খালি আছে। এর মধ্যে একজন দেশের বাইরে থাকায় ৫ জন দিয়ে চালানো হচ্ছে বিদ্যালয়টি।

স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুই শতাধিক। স্থানীয়দের দাবি, শিক্ষক কম থাকায় ব্যাঘাত ঘটছে শিক্ষা কার্যক্রমে। তবে এ ব্যাপারে শিবচর উপজেলার শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম কথা বলতে রাজি হননি।

মাদারীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে জানান, আমাদের কোনো শিক্ষক দেশের বাইরে থেকেও বেতন নিচ্ছেন বলে আমার জানা নেই। যদি এমনটি হয়ে থাকে তাহলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। বিষয়টি জানার পর শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) খোঁজখবর নিতে বলা হয়েছে।

রাকিব হাসান/আরআই