মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের ফুলছড়া চা-বাগানের শ্রমিক জানকি। মিছিলে এসেছেন। তার হাতে ‘আটা রুটির সংগ্ৰাম, চলছেই চলবে’ লেখা প্ল্যাকার্ড। তিনি বলেন, নেতারা পকেটে ঢুকে গেছে আমরা ঢুকব না। আমরা ১২০ টাকা মজুরি মানি না। আমাদের মাঠে নামিয়ে তারা উধাও। আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার চাই। আমরা ডাল-ভাত খেয়ে ভালো করে বাঁচতে চাই। 

সোমবার (২২ আগস্ট) বিকেলে শ্রীমঙ্গলের কালিঘাট চা বাগান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আসেন চা-শ্রমিকরা। এরপর ভাড়াউড়া চা বাগানে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। 

বিক্ষুব্ধ চা-শ্রমিক ফুলমতি বলেন, আমরা আমাদের অধিকার চাই। এই মজুরি দিয়ে চলতে পারি না। 

কালিঘাট চা-বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি অবাং তাতি বলেন, নেতাদের কথা আমরা বিশ্বাস করি না। আমরা চাই প্রধানমন্ত্রী নিজে আমাদের বলুক- আমাদের মজুরি বাড়বে। প্রধানমন্ত্রী না বলা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন থেকে ফিরে যাব না। 

সর্বশেষ ২২ আগস্ট ভোররাতে জেলা চা-শ্রমিকদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। 

সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়- প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রেখে তার সম্মানে বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়ন তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে ২২ আগস্ট থেকে কাজে যোগদান করবে। আপাতত চলমান মজুরি অর্থাৎ ১২০ টাকা হারেই শ্রমিকগণ কাজে যোগদান করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স পরবর্তীতে মজুরির বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর সদয় বিবেচনার পর চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত হবে। আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজার পূর্বে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হওয়ার জন্য চা-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ আবেদন করবেন, যা জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উপস্থাপিত হবে। চা-শ্রমিকদের অন্যান্য দাবীসমূহ লিখিত আকারে জেলা প্রশাসকের নিকট দাখিল করা হবে। জেলা প্রশাসক তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রেরণ করবেন। বাগান মালিকরা বাগানের প্রচলিত প্রথা/দর মোতাবেক ধর্মঘটকালীন মজুরি শ্রমিকদেরকে পরিশোধ করবেন। 

ওমর ফারুক নাঈম/আরএআর