মহরমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে মামলা করব : এমপি শম্ভু
ছাত্রলীগ কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জের ঘটনায় আলোচিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীর বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।
বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে বরগুনা সার্কিট হাউসে পুলিশের বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামানের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
বিজ্ঞাপন
ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, আপাতত এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের আর কোনো কর্মসূচি থাকবে না। তবে আগামীকাল তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পরও যদি পুলিশ কর্মকর্তা মহরম আলীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে এ ঘটনায় জড়িত সকলের বিরুদ্ধে আমরা মামলা করব। আমাদের মামলা দেওয়ার অধিকার আছে।
তিনি আরও বলেন, আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এমন ঘটনা বরগুনায় এই প্রথমবার। সরকারি দল, বিরোধী দল, যে কোনো সময় আন্দোলনে মাঠে ছিলাম। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আন্দোলন হয়েছিল বরগুনায়। প্রতিবাদ-সংগ্রামে সাধারণ মানুষ পাশে দাঁড়িয়েছিল, কারাবরণ পর্যন্ত করতে হয়েছে। কিন্তু পুলিশ আমাদের সঙ্গে এমন আচরণ কখনো করেনি। এটাই বরগুনার ইতিহাসে প্রথম।
এ সময় পুলিশের বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান, বরগুনার পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর মল্লিক, জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাচানুর রহমান রিমন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির, পৌর মেয়র কামরুল আহসান মহারাজ, যুবলীগের সভাপতি রেজাউল কবির এ্যাটম, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুনাম দেবনাথ, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জুবায়ের আদনান অনিক উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্সে ফুল দিতে যান বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা ও সাধারণ সম্পাদক তৌশিকুর রহমান ইমরান। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ফেরার সময় শিল্পকলা একাডেমির সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত গ্রুপের সদস্যরা তাদের ওপর হামলা চালায়।
এতে দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় পুলিশের কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীর নেতৃত্বে সংঘর্ষে লিপ্ত ছাত্রলীগ কর্মীদের লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।
খান নাঈম/আরএআর