স্কুল-ক্লাস ফাঁকি দিয়ে আড্ডা, ৫ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে স্কুলের পাঠদান চলাকালে বাজারে ও হোটেলে আড্ডা দেওয়ায় পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। রোববার (১৪ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা যায়।
নোটিশে বলা হয়, এই বিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলাকালীন বাজারে আড্ডা দেওয়া, হোটেলে খাওয়া ও বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে পাঁচ ছাত্রকে ১৪ আগস্ট ২০২২ তারিখ হতে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো। একইসঙ্গে বিদ্যালয়ের অন্য ছাত্র-ছাত্রীদের সতর্ক করা হলো।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, রাজগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর চৌধুরী সেলিম রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে স্কুল চলাকালীন স্কুলের পোশাক পরা পাঁচ শিক্ষার্থীকে বাজারে আড্ডা ও হোটেলে খাওয়া দাওয়া করতে দেখেন। তারপর তিনি ওই শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিনের কাছে হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওই পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের নোটিশ প্রকাশ করেন।
রাশেদুল ইসলাম নামে এক অভিভাবক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভালো সিদ্ধান্ত। আশা করি এই পাঁচজনকে দেখে অন্যরা সচেতন হবেন। সেইসঙ্গে এই পাঁচজনও নিজেদের ভুল বুঝতে পারবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমার বিদ্যালয়ে ২ হাজার শিক্ষার্থী। বিদ্যালয় চলাকালীন বাইরে আড্ডা দেওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ। তাছাড়া এদের এর আগে কয়েকবার সতর্ক করা হয়েছে। আমরা তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আজ যে পাঁচজনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের তিনজনকে আমি কিছু দিন আগে সন্ধ্যায় বাজারে আড্ডা দিতে দেখেছি। বিষয়টি অভিভাবকদের জানিয়েছি। তারপরও আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা স্কুল চলাকালীন বাইরে আড্ডা দিচ্ছে। মূলত সব শিক্ষার্থী যেন বিষয়টি বুঝে সতর্ক হয় সেজন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
রাজগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর চৌধুরী সেলিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের বাজারে পেয়ে শিক্ষকদের হাতে তুলে দিয়েছি। তারা স্কুল ফাঁকি দিয়ে মাইজদীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ায় এবং স্কুল শেষে বাড়ি ফিরে। এ কারণে দিন দিন তারা খারাপ ফলাফল করছে।
হাসিব আল আমিন/এসপি