পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে মারধর, দুই পুলিশ সদস্য অবরুদ্ধ
গাজীপুরের শ্রীপুরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত এক আসামিকে মারধরের অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করেছেন স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া পূর্ব খণ্ড গ্রামের গাঢ়োপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত সোয়া ১০টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার ও আসামিকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
পরোয়ানাভুক্ত আসামি আবুল কালাম (৪৫) ওই এলাকার মো. শাফিজ উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামুনসহ দুই পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ ও মারধর করেন স্থানীয় লোকজন।
বিজ্ঞাপন
আবুল কালামের স্ত্রী পারভীন আক্তার বলেন, সন্ধ্যার পর তার স্বামী বাড়ির বাইরে যান। এ সময় সিভিল পোশাকে পুলিশ পরিচয়ে এসে তাকে মারধর করে উলঙ্গ করে ফেলেন দুজন। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গেলে তাকে (আবুল কালাম) মারধর করার কারণ জানতে চাই। এ সময় ওই দুই পুলিশ সদস্য আমাকেও দুইবার লাথি মারেন। আমাকে মারধরের প্রতিবাদ করলে পাশের একটি সেলুনে নিয়ে স্বামীকে আটকে রাখেন।
তিনি আরও বলেন, আমার স্বামী শারীরিকভাবে অসুস্থ। তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলাসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। সব মামলাতেই তিনি জামিনে রয়েছেন। তবুও প্রায়ই পুলিশ এসে গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না পেলেই হয়রানি করে।
ঘটনাস্থলের পাশেই আখের রস বিক্রি করেন জাহাঙ্গীর। তিনি জানান, হঠাৎ পুলিশের দুই সদস্য এসে কালামকে মারধর করে গাড়িতে উঠাতে শুরু করেন। বাজারে থাকা লোকজন প্রতিবাদ করলে পুলিশ কালামকে নিয়ে পাশের একটি সেলুনে আটকে মারধর করে। তিনি কালামকে মারধরে বাধা দিলে তাকেও মারধর করেন পুলিশ সদস্যরা।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে থানায় নিয়ে এসেছে। তবে আসামিকে মারধরের বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
শিহাব খান/আরএআর