প্রিসিলার উপহার পেয়ে আবেগাপ্লুত হালিমা
টিউবওয়েল না থাকায় অন্যের বাড়ি থেকে খাবার পানি এনে পান করেন হালিমা বেগম। তাছাড়া পানি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রয়োজন মেটাতে দূরে অন্যের বাড়িতে যেতে হয় তাকে। দুটো বাচ্চা নিয়ে দূর থেকে পানি আনাটা বেশ কষ্টকর ছিল তার। বিষয়টি নিউইয়র্ক প্রবাসী নাজনীন ফাতেমা প্রিসিলার নজরে এলে ফলশ্রুতিতে হালিমা বেগমকে একটি টিউবওয়েল উপহার দিয়েছেন তিনি। নতুন টিউবওয়েল পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হালিমা বেগম। প্রিসিলার উপহারের মাধ্যমে তার এতদিনের কষ্ট লাঘব হলো।
হালিমা বেগম (২৭) সাতক্ষীরার তালা সদরের আটারই গ্রামের সেলিম হোসেনের স্ত্রী। হালিমর স্বামী সেলিম হোসেন পেশায় দিনমজুর। সামান্য রোজগারে দুই বাচ্চাসহ সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় তার। পর্যাপ্ত অর্থের অভাবে একটি টিউবওয়েল স্থাপন করতে পারেননি সেলিম হোসেন।
বিজ্ঞাপন
হালিমা বেগমের এমন দুর্দশার চিত্র নিউইয়র্ক প্রবাসী প্রিসিলা ফাতেমাকে অবহিত করেন স্থানীয় বাসিন্দা সাংবাদিক সোহাগ হোসেন।
এরপর প্রিসিলা হালিমা বেগমকে একটি নতুন টিউবওয়েল স্থাপনের সকল ব্যবস্থা করেন। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় হালিমা বেগমের নিজ বাড়িতে টিউবওয়েল স্থাপনের কাজ সম্পূর্ণ করা হয়।
সাংবাদিক সোহাগ হোসেন জানান, হালিমা বেগমের দুর্দশার চিত্র জানানোর পর প্রিসিলা সাড়া দিয়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ও একটি টিউবওয়েল বসানোর জন্য সহায়তা করেন। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সকালে হালিমার বাড়িতে ৬ হাজার ৯০০ টাকা ব্যয়ে টিউবওয়েলটি বসানো হয়েছে।
হালিমা বেগম বলেন, দুটো ছোট বাচ্চা নিয়ে অন্যের বাড়ি থেকে পানি নিয়ে আসতে খুব কষ্ট হতো। দিনে দশ থেকে পনের বার দূরে অন্যের বাড়িতে গিয়ে পানি আনতে হতো। বৃষ্টির দিনে খুব কষ্টকর ছিল পানি নিয়ে আসা। স্বামীর অসচ্ছলতার কারণে এতদিনেও একটি টিউবওয়েল বসানোর সামর্থ হয়নি। তবে আমার কষ্টের বিষয়টি সোহাগের মাধ্যমে প্রিসিলা নামের একটি মেয়ে জানতে পেরে আমাকে নতুন টিউবওয়েল স্থাপন করে দিয়েছে। আমার এখন আর কষ্ট করে দূরে যাওয়া লাগবে না। অযু গোসলসহ অন্যান্য সকল প্রয়োজন মেটাতে পারব।
প্রসঙ্গত, প্রিসিলা নাজনীন ফাতেমা নিউইয়র্কে বসবাস করেন। তিনি অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডের মধ্যদিয়ে প্রশংসা কুড়িয়ে চলেছেন প্রতিনিয়ত। তার মাধ্যমে দেশে অনেক অসহায় পরিবার টিউবওয়েল থেকে শুরু করে নানাবিধ সহায়তা পেয়েছেন। সমাজের কোনো অসংলগ্নতা তার নজরে এলে সেটা নিয়ে তিনি নেট দুনিয়ায় আলোচনা করে সচেতনতা সৃৃষ্টি করেন।
আকরামুল ইসলাম/এমএএস