কুমিল্লায় বেত্রাঘাতে মো. সিহাব (১৫) নামের এক মাদরাসাছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুর রবকে আটক করেছে বরুড়া থানা পুলিশ। শুক্রবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন বরুড়া থানা পুলিশের থানার ডিউটি অফিসার ও উপপরিদর্শক (এসআই) উত্তম কুমার।

তিনি বলেন, শুক্রবার দুপুরে মো. সিহাব নামের মেড্ডা আল মাতিনিয়া নুরানি মাদরাসারছাত্রের মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে, ওই মাদরাসার শিক্ষক আব্দুর রবের বেত্রাঘাতে সিহাবের মৃত্যু হয়। সন্ধ্যায় বরুড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম অভিযান চালিয়ে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।

এ বিষয়ে কাজ করছে পুলিশ। বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার দুপুরে মেড্ডা আল মাতিনিয়া নুরানি মাদরাসার ছাত্র মো. সিহাবের মৃত্যু হয়। জেলার বরুড়া উপজেলার ঝলম ইউনিয়নের শশইয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন : শিক্ষকের বেত্রাঘাতে মাদরাসাশিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ

এ ঘটনায় নিহত সিহাবের ভাবি সাবিকুন নাহার ঝুমুর অভিযোগ করে বলেন, আমার দেবর সিহাবকে কয়েক দিন আগে মেড্ডা মাদরাসার শিক্ষক আব্দুর রব বেত্রাঘাত করেন। এ সময় সিহাব অসুস্থ হয়ে পড়লে শিক্ষকরা তাকে ওষুধ এনে খাওয়ান। তাতেও সে সুস্থ না হওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) মাদরাসা থেকে ফোন করে সিহাবের অসুস্থতার খবর জানানো হয়। পরে আমার শ্বশুর মাদরাসায় গিয়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। সিহাবের অবস্থা খারাপ হওয়ায় শুক্রবার সকালে তাকে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে নেওয়ার কিছুক্ষণ পর দুপুর ১টা ১২ মিনিটের সময় সিহাবের মৃত্যু হয়।

তিনি আরও বলেন, সিহাব প্রথমে বিষয়টি পরিবারকে জানায়নি। সে বলেছে এমনিতেই তার শরীরে জ্বর এসেছে। পরে আজ বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে যখন কুমিল্লায় রেফার করা হয়, তখন তার কাছে অসুস্থতার কারণ জোর দিয়ে জানতে চাইলে সে ওই হুজুরের নাম না বলে, বলে হুজুর আমাকে মেরেছে। আমি যদি কাউকে এটা বলি, তাহলে মাদরাসায় ফিরলে আবার আমাকে মারবেন। তাই সে ওই শিক্ষকের নাম বলেনি।

এনএ