ভোলায় সেচ্ছাসেবক দল কর্মী নিহত
রহিমের মৃত্যুর জন্য একে অপরকে দায়ী করছে পুলিশ-বিএনপি
ভোলায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে সেচ্ছাসেবক দল কর্মী রহিম মাতাব্বরের নিহত হওয়ার ঘটনায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গায়েবানা জানাজার কথা থাকলেও ভোলায় তা হয়নি। নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের পর জানাজার আয়োজন করেছে বিএনপি।
রহিমের মৃত্যুর জন্য পুলিশ বিএনপিকে দায়ী করছে আর বিএনপি দায়ী করছে পুলিশকে। এ ঘটনায় পুলিশ ভোলা থানায় হত্যা মামলাসহ পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বিএনপির ৭৫ নেতা-কর্মী ও অজ্ঞাত ৩শ ব্যক্তিকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা করেছে।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত রহিম মাতাব্বরের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ভোলা জেলা বিএনপি এবং পুলিশ পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে একে অপরের ঘাড়ে দ্বায় চাপাচ্ছে।
জেলা বিএনপি সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর দাবি করেন, পুলিশ টিয়াসেল, লাঠিপেটা আর গুলি করায় রহিমের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম বলছেন, শটগানের গুলিতে কেউ মারা যাবার কথা নয়। ইট বা অন্য কোনো কিছুর মাধ্যমে মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাত পাওয়ায় প্রচুর রক্ত ক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন : ভোলায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত অর্ধশতাধিক
ভোলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. নিরুপম সরকার সোহাগ জানিয়েছেন, রহিম হাসপাতালে আসার আগেই মারা গেছেন। তার শরিরে ইট ও গুলির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
এদিকে আজ সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরে পুলিশ নিহত রহিমের ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তরের পর বিএনপি শহরের গোরস্থান জামে মসজিদ এলাকায় নামাজের জানাজার আয়োজন করে। জানাজার পরে নিহত রহিমকে দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামে দাফন করা হবে।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন নিহত রহিমের পরিবারকে সান্ত্বনা দেন এবং বিচার দাবি করেন।
আরও পড়ুন : গুলি করে নেতাকর্মী হত্যার জবাব সরকারকে দিতে হবে
এ ছাড়া ভোলা সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. হেলাল উদ্দিন ও ভোলার সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন জানান, তারা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করছিলেন। তারপরও পুলিশ তাদের সঙ্গে নির্মম আচরণ করেছে। রহিমের মৃত্যুর পাশাপাশি জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী এখনও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। এর কঠোর জবাব দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
প্রসঙ্গত, নিহত রহিম মাতাব্বর সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামের মৃত হারেছ মাতাব্বরের ছেলে। সেচ্ছাসেবক দলের এই কর্মী পেশায় একজন কৃষক। তার একটি মেয়ে ও তিনটি ছেলে রয়েছে।
আরআই