পটুয়াখালীর বাউফলের কালাইয়া লঞ্চঘাটে ঢাকাগামী দুটি লঞ্চের সংঘর্ষে আহত শিশু মার্জিয়া (০২) মারা গেছে। শুক্রবার (২৯ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে গত ১৭ জুলাই সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। 

পরিবার সূত্রে জানা যায়, মার্জিয়ার বাবা মেহেদী হাসান পেশায় একজন পোশাকশ্রমিক। এর আগেও তার একটি কন্যা সন্তান হয়। কিন্তু জন্মের এক ঘণ্টা পর সেই শিশু মারা যায়। দ্বিতীয় সন্তানকেও দুই লঞ্চের অসুস্থ প্রতিযোগিতার কারণে জীবন দিতে হলো।

মার্জিয়ার মামা মো. নাইমুর রহমান বলেন, ঈদের ছুটিতে আমার বোন গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। ঢাকায় ফেরার সময় লঞ্চঘাটে দুই লঞ্চের নোঙ্গর করা নিয়ে ধাক্কাধাক্কিতে আমার ভাগনে মার্জিয়া পানিতে পড়ে যায়। ঢাকা নিয়ে আসার পর চিকিৎসকরা মার্জিয়ার শারীরিক অবস্থায় অবনতি হলে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে স্থানান্তর করেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মার্জিয়ার মৃত্যু হয়। 

কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলু বলেন, দুই লঞ্চের প্রতিযোগিতায় প্রাণ গেল শিশুটির। এটা কোনো দুর্ঘটনা না। এটা হত্যাকাণ্ড। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।

ধুলিয়া-১ লঞ্চের মাস্টার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, পল্টনে লঞ্চটি নোঙর করতে গিয়ে কোনো কারণ ছাড়াই বন্ধন লঞ্চটি আমাদের লঞ্চের পাশ দিয়ে সজোরে ধাক্কা দিলে আমরা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারিনি। যার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় মার্জিয়ার দাদা আশরাফ গাজী বাদী হয়ে বাউফল থানায় একটি মামলা করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসপি