মোটরসাইকেল উদ্ধারের পর চোরের নাম শুনে হতবাক মালিক
মোটরসাইকেল চুরির পর থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন এর মালিক। এ সময় তার সঙ্গে থানায় যান তার বন্ধু। পরে পুলিশ মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে চোরসহ। কিন্তু পুলিশের কাছে চোরের নাম শুনে হতবাক তিনি। চোর আর কেউ নয়, তারই সঙ্গে থানায় যাওয়া বন্ধু!
এমন ঘটনাই ঘটেছে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ পৌর শহরে।
বিজ্ঞাপন
মোটরসাইকেল চুরিতে অভিযুক্ত মেহেদি হাসান সুজাত (৩০) নামের ওই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুরে নেত্রকোণা আদালতে পাঠিয়েছে স্থানীয় থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া মেহেদি হাসান সুজাত পার্শ্ববর্তী বারহাট্টা উপজেলার নৈহাটি গ্রামের আবদুল হাশিমের ছেলে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) রাতে মোহনগঞ্জ পৌর শহরের আখড়া রোড এলাকার আনন্দ হোটেলের সামনে থেকে চুরি হয় মোটরসাইকেলটি। পরে ওই দিন রাতেই পুলিশ মেহেদি হাসান সুজাতকে গ্রেপ্তারসহ মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে।
মোহনগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিুকল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বারহাট্টা উপজেলার চাট্টা গ্রামের রফিকুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী মোহনগঞ্জ উপজেলায় একটি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে তিনি মোহনগঞ্জ পৌর শহরের আখড়া রোডে আনন্দ হোটেলের সামনে মোটরসাইকেলটি রেখে কাজে যান। পরে বেলা ২টার দিকে এসে দেখেন মোটরসাইকেল নেই।
দিনভর খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে সন্ধ্যায় তিনি বন্ধু মেহেদি হাসান সুজাতকে সঙ্গে নিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানান। পরে মোটরসাইকেল উদ্ধারে অভিযানে নামে পুলিশ। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকা বিভিন্ন সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও দেখে মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়া অবস্থায় মেহেদি হাসান সুজাতের শার্টের কিছু অংশ দেখতে পায় পুলিশ। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সব স্বীকার করে মোটরসাইকেলটি বের করে দেন।
মোহনগঞ্জ থানা ওসি বলেন, এ ঘটনায় সুজাতের নামে মামলা দিয়ে শুক্রবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মো. জিয়াউর রহমান/এনএ