টেকনাফের হ্নীলা ইউপির মৌলভীবাজার এলাকায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতের ১৩ বছর বয়সী ছমিরা আক্তার (ছদ্মনাম) নামে এক স্কুলছাত্রী অনশন করছে।

মঙ্গলবার দুপুর (২৬ জুলাই) ১২টা দিকে মৌলভীবাজারের উত্তর পাড়া এলাকায় প্রেমিকের বাড়িতে এ অনশন শুরু করে ছমিরা।

অভিযুক্ত প্রেমিক মোহাম্মদ নিসান মৌলভী বাজারের নুরুল হকের ছেলে। মেয়েটির অনশনের পর থেকে প্রেমিকের পরিবারের লোকজন আত্মগোপনে রয়েছে।

অনশনরত কিশোরী দাবি করে জানায়, ছয় মাস আগে নিসানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয়। সম্পর্ক গভীর হলে নিসানের কথামতো বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণে যায় সে। সেখানে নিসান তার সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। সর্বশেষ টেকনাফ ন্যাচার পার্কে নিয়েও তাকে শারীরিক সম্পর্ক করে। এরপর তাকে জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধ খাওয়ায় জোর করে।

স্কুলছাত্রী আরও বলে, আমাকে বিয়ের কথা বলে এসব করে এখন যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। আমি নিসানকে ছাড়া কোথাও যেতে রাজি নই। আমি তাকে বিয়ে করার জন্য এখন অনশন শুরু করেছি।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে কিশোরীর মা-বাবা জানান, এ খবর জানার পর মেয়েকে পায়ে শিকল দিয়ে কয়েক দিন বেঁধে রেখেছিলাম। মেয়ে আত্মহত্যা করবে বলে হুমকি দেওয়ায় তার শিকলের বাঁধন খুলে দিয়েছি। খোলার পরই মেয়ে ওই ছেলের বাড়িতে চলে গেছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছেলের বাড়িতে গেলে তাকে ও তার বাবা-মায়ের খোঁজ পাওয়ায় যায়নি। এ কারণে পরিবারের কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সংশ্লিষ্ট মহিলা ইউপি সদস্য বলেন, আমরা চেষ্টা করেছিলাম পারিবারিকভাবে বসে সমাধান করার। কিন্তু ছেলের পক্ষের কোনো সাড়া না পাওয়া সমাধান করতে পারিনি।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের কাছে এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাইদুল ফরহাদ/এনএ