কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন থেকে সংবাদ সংগ্রহে নিয়োজিত স্থানীয় সাংবাদিকদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৩ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা চত্বরে দলটির সম্মেলনে ওই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মেঘনা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বিপ্লব।

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, শনিবার উপজেলা আওয়ামী লীগের দাওয়াত কার্ড পেয়ে উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহে যান। অনুষ্ঠান শুরু হতেই সম্মেলনের কাউন্সিলর উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক লিটন আব্বাসী এবং ভাওরখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাব মিয়া সাংবাদিকদের প্রোগ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বলেন।

কী কারণে চলে যাব, জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের প্রোগ্রামে সাংবাদিক প্রয়োজন নেই। আপনারা চলে যান। পরে সাংবাদিকরা সম্মেলনস্থল ত্যাগ করে চলে আসেন। ওই ঘটনার পর ঘোষণা দিয়ে অনুষ্ঠানে সংবাদ সংগ্রহ বয়কট করেন সাংবাদিকরা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত কাউন্সিলর মেঘনা উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক লিটন আব্বাসী ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি শুধু সাংবাদিক ছাড়া যারা মোবাইলে ভিডিও করছিলেন, তাদের চলে যেতে বলেছিলাম। কিন্তু বিএনপি পন্থী কিছু সাংবাদিক আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠানকে বদনাম করতে এই প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছে।

কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনুষ্ঠানে ছিলাম। কই, কেউ তো এমন কোনো অভিযোগ দেয়নি! কেউ যদি এমন কথা বলে থাকেন, তবে তিনি ভুল তথ্য দিয়েছেন। আমার কাছে অভিযোগ এলে আমি অবশ্যই এর বিচার করব।

প্রসঙ্গত, শনিবার (২৩ জুলাই) কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, কুমিল্লা-১ দাউদকান্দি-মেঘনা আসনের সংসদ সদস্য সুবিদ আলী ভূইয়া।

এ সময় কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমিন এবং সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টার উপস্থিত ছিলেন। ওই সম্মেলন থেকে সাংবাদিকদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেন মেঘনা উপজেলার সাংবাদিকরা।

এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত অন্য সাংবাদিকরা। ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে কুমিল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটি।

কুমিল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ওমর ফারুকী তাপস ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাংবাদিকদর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই। সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে সংবাদ সংগ্রহে করতে দেওয়া উচিত। দাওয়াত দিয়ে ডেকে এভাবে তাদের অপমান করা ঠিক হয়নি।

এনএ