ফরিদপুর সদরের ঈশান গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সহিদুল ইসলাম ওরফে মজনুকে (৪৭) এবার একটি অবৈধ বিদেশি পিস্তলসহ আটক করেছে পুলিশ। 

শুক্রবার (২২ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের বাবুপাড়া এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে আটক করে। এ সময় তার সহযোগী সোহেল হোসেনকেও (৩৫) আটক করা হয়।

সহিদুল ইসলাম গোপালপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের নূরুদ্দিন ইসলামের ছেলে। অপরদিকে তার সহযোগী সোহেলের বাড়ি শহরের বায়তুল আমান এলাকায়।

আটকের সময় সহিদুলের কাছ থেকে তিনটি গুলি লোড করা অবস্থায় একটি বিদেশি পিস্তল জব্দ করা হয়। এছাড়া তার সহযোগী সোহেলের কাছ থেকে আরও তিনটি গুলি জব্দ করা হয়।

এ বিষয়ে ফরিদপুর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, পুলিশ জানতে পারে সহিদুলের কাছে একটি অবৈধ অস্ত্র আছে। এ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মোটরসাইকেলে যাওয়ার পথে ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের বাবুপাড়া এলাকায় সড়কের উপর তার মোটরসাইকেল থামানো হয়। মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন সোহেল। পিছনে বসা ছিলেন সহিদুল। পরে সহিদুল ও সোহেলের দেহ তল্লাশি করে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন ও ছয়টি গুলি জব্দ করা হয়।

তিনি বলেন, এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি একটি চাঁদাবাজির মামলায় সহিদুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন আদালত। ২০২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় পাঁচ লাখ টাকার ওই চাঁদাবাজির মামলাটি করেন ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের মোল্লা পোল্ট্রি ফার্ম অ্যান্ড হ্যাচারির মালিক জাহিদ মোল্লা। ওই মামলায় হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ফরিদপুরে এক নম্বর আমলি আদালতে তিনি হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, সহিদুল ইসলাম সাবেক মন্ত্রী ও ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য খন্দকার মোশাররফের এপিএস এ এইচ এম ফোয়াদের বিশ্বস্ত সহযোগী ছিলেন। ওই সময় ফোয়াদ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ছিলেন। সহিদুল ওই আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। এ এইচ এম ফোয়াদ ঢাকার কাফরুল থানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দায়ের করা দুই হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিংয়ের মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি হিসেবে কারাবন্দি আছেন। 

জহির হোসেন/আইএসএইচ