কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে রাতে রিটন মিয়া (৪০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বিকেলে তাদের কিশোরগঞ্জ আদালতে সোপর্দ করছে কটিয়াদী মডেল থানা পুলিশ।

সোমবার (১৮ জুলাই) রাতে কটিয়াদী মডেল থানায় নিহত রিটন মিয়ার ভাই মিষ্টু মিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। তখন মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন অপু মিয়া, খোকন মিয়া, মহিউদ্দিন, পাপ্পু মিয়া, দিপু মিয়া, নাঈম মিয়া, নাদিম মিয়া ও রফিকুল ইসলাম। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের ঘিলাকান্দী গ্রামে।

নিহত রিটন মিয়া পাশবর্তী পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নে মাইজহাটি গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দীনের ছেলে।

কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) কাজী মাহফুজ হাসান সিদ্দিকী ঢাকা পোস্টকে জানান, মামলার এজাহারভুক্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র রামদা, টেঁটা, বল্লম, অলঙ্গা উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন : কটিয়াদীতে একজনকে কুপিয়ে খুন, আটক ৭

উল্লেখ্য, গত রোববার (১৭ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে রিটন ও তার সঙ্গীরা কটিয়াদী উপজেলার ঘিলাকান্দী গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি বাদল মিয়ার বাড়ি থেকে ফিরছিলেন। এ সময় বনগ্রাম ইউনিয়নের পাঁচলগোটা নামক স্থানে পৌঁছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রিটনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ হামলায় রিটন মিয়া গুরুতর আহত হন।

এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় সঙ্গীরা আহত অবস্থায় রিটনকে উদ্বার করে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সোমবার (১৮ জুলই) ভোর ৪টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এসকে রাসেল/এনএ