বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী
সুনামগঞ্জে শহরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও হাওরের অবস্থার উন্নতি হয়নি। বন্যার ভয়াবহতায় ঘরবাড়ি হারানো হাওরের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে বসতঘর নির্মাণসহ পুনর্বাসনে কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী।
সোমবার (১৮ জুলাই) প্রথম ধাপে দুই উপজেলার ৬০টি পরিবারকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার আওতায় বসতঘর নির্মাণসামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদান করেন সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার (সিলেট) মেজর জেনারেল হামিদুল হক। সকালে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার বাবুনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ৩০ জন ও বিকেলে জামালগঞ্জ উপজেলার জামালগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আরও ৩০ জনকে পুনর্বাসন সামগ্রী দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাদের নতুন কাপড় প্রদান করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এ সময় মেজর জেনারেল হামিদুল হক বলেন, সেনাবাহিনী প্রথমে উদ্ধার, পরে ত্রাণ ও এখন পুনর্বাসনের কাজ করে যাচ্ছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেকটি মানুষের কাছে আমরা পৌঁছানোর চেষ্টা করব। সরকারের সহযোগিতায় স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় ক্ষতিগ্রস্তদের একটি ডাটাবেজ তৈরি করেছি। যতদিন না সব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারব, ততদিন আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাব। প্রধানমন্ত্রী নিজে খোঁজখবর নিচ্ছেন। সেনাবাহিনী ও প্রশাসন মানুষের পাশে আছে। সুনামগঞ্জের মানুষের ভয়ের কিছু নেই।
উপকারভোগীরা বলেন, সেনাবাহিনীর এই সহযোগিতা ভুলার মতো নয়। বন্যার শুরু থেকে তারা আমাদের সহযোগিতা করছেন। ঘরে যখন পানি ছিল চিড়া-মুড়ি খাইছি। এখন বন্যার পানি নেমে গেছে। কিন্তু আমাদের ঘর ভেঙে গেছে। আমাদের থাকা খাওয়ার কষ্ট হচ্ছে। এই দুঃসময়ে ঘর নির্মাণে সেনাবাহিনীর এই সহযোগিতা আমাদের চিরদিন মনে থাকবে।
এ সময় সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের সিলেট এরিয়ার কর্নেল স্টাফ কর্নেল গোলাম কিবরিয়া, কর্নেল অ্যাডমিন (ভারপ্রাপ্ত) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহসিন, স্টাফ অফিসার মেজর জাহাঙ্গীর আলম, জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দেব, ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনতাসির হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্ল্যেখ্য, বন্যার শুরু থেকে বন্যাকবলিতদের উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। পাশাপাশি বন্যাদুর্গতদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ প্রদান করেছেন তারা। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, সেতু ও অবকাঠামো নির্মাণেও কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী।
আরএআর