হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিতে কক্সবাজারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত লিয়াকত
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাবেক পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে অন্য একটি হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিতে কক্সবাজার আদালতে হাজির করা হয়েছে। রোববার (১৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তাকে হাজির করা হয়।
টেকনাফের বাহারছড়ার শামলাপুরের একটি হত্যা মামলার সাক্ষ্য দিতে তাকে আদালতে তোলা হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লিয়াকত আলীকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ফরিদুল আলম জানান, ২০১৯ সালের আগস্টে টেকনাফের বাহারছড়ার শামলাপুরের শীলখালীর আবদুর রহিমকে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় তার স্ত্রী খুরশিদা বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন তৎকালীন শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্টের ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী। ওই মামলার সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য তাকে আদালতে তোলা হয়। আদালতের বিচারক তার সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন।
কক্সবাজার জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. মনির হোসেন জানান, টেকনাফের একটি হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়েছে। এর আগে গত ১৫ জুলাই কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে তাকে কক্সবাজার কারাগারে আনা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে কক্সবাজার কারাগার থেকে তাকে চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। সিনহা হত্যা মামলায় চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত মামলার প্রধান আসামি সাবেক পুলিশ পরিদর্শক লিয়াক আলী ও টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। একইসঙ্গে ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সাইদুল ফরহাদ/আরএআর