কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ জালাল মজুমদারের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান জুয়েলের বিরুদ্ধে রয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। সেই পরোয়ানা মাথায় নিয়েও কীভাবে চেয়ারম্যান শাহ জালাল মজুমদারের ওপর হামলা চালান তিনি, এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।  

জানা গেছে, যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান জুয়েলের বিরুদ্ধে একটি চেক জালিয়াতির মামলায় ১ বছরের সাজা হয়েছে। ফারুক নামে তার এক মামাতো ভাইয়ের দায়ের করা ওই মামলায় ১ বছরের সাজা হয় জুয়েলের বিরুদ্ধে। ফেরারি আসামি হয়েও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।  গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকার পরও পুলিশ কেন তাকে গ্রেপ্তার করছে না তা নিয়েও চলছে নানা কথা।  

যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান জুয়েলের বিরুদ্ধে থাকা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা। 

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, যুবলীগ নেতা জুয়েলের বিরুদ্ধে একটি চেক জালিয়াতির মামলায় পরোয়ানা আছে। পরোয়ানাটি সম্প্রতি আমাদের হাতে এসেছে। তিনি মাঝে মাঝে গোপনে এলাকায় এসে আবার নিরুদ্দেশ হয়ে যান। আমরা তাকে গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চালাচ্ছি।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) বিকেলে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ জালাল মজুমদারের ওপর হামলা চালান ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান জুয়েল। এ সময় গাড়ি থেকে নেমে কোনোরকমে প্রাণে বাঁচেন ইউপি চেয়ারম্যান। ঘটনায় চেয়ারম্যানের ব্যবহৃত গাড়ি ব্যাপক ভাঙচুর করে পালিয়ে যায় মনিরুজ্জামান জুয়েল এবং তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান জুয়েলের একটি অস্ত্র হাতের ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। 

এসকেডি