কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে মাগুরার বায়তুন নূর জামে মসজিদ
মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল প্রায় সাড়ে ছয় শত বছর আগে। মোঘল আমলে নির্মিত এই মসজিদটিতে আজও মুসল্লিরা আসেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে। বহু পুরনো মসজিদটি এখন সংস্কার করা প্রয়োজন। এই ঐতিহাসিক নিদর্শনটি সংরক্ষণের জন্য এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি সরকারি উদ্যোগ। তাই স্থানীয়দের দাবি এই মসজিদটি যেন সংরক্ষণ করা হয়।
মুঘল আমলের নিদর্শন বায়তুন নূর জামে মসজিদটি মাগুরার শালিখা উপজেলার আড়পাড়ার গোপালগ্রাম এলাকায় অবস্থিত। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মসজিদটির সঠিক নির্মাণকাল কারও জানা না থাকলেও বংশ পরম্পরায় তারা শুনে আসছেন মসজিদটি মোঘল আমলে নির্মিত এবং এর আনুমানিক বয়স প্রায় ৬৫০ বছর।
বিজ্ঞাপন
গোপালগ্রাম গ্রামের ষাটোর্ধ্ব আফছারুল আমীন গাজী ঢাকা পোস্টকে বলেন, সেই ছোট থেকেই আমরা শুনে আসছি এই মসজিদটি মোঘল আমলে নির্মাণ করা হয়েছে। তবে এর সঠিক বয়স কেউ বলতে পারবে না।
স্থানীয় নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, শুনেছি এটি মোঘল আমলে তৈরি। অনেকেই দূর-দূরান্ত থেকে এই মসজিদটি দেখতে আসেন। এটি আমাদের এলাকার সম্পদ। এই মসজিদটি সংরক্ষণে সরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
জানতে চাইলে মসজিদের মুয়াজ্জিন মো. ইউনুস সিকদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি, এটি মোঘল আমলের মসজিদ। স্থানীয়ভাবে এর আগে দু'বার মসজিদটি সংস্কার করা হলেও সরকারি কোনো উদ্যোগ আজ পর্যন্ত নেওয়া হয়নি।
মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আজিম উদ্দীন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার দাদা ৬০ এর দশকে প্রথম মসজিদটি সংস্কার করেছিলেন। তখন ফার্সি ভাষায় মসজিদের নাম লেখা ছিল। পরবর্তীকালে সেই লেখাটি অস্পষ্ট অবস্থায় আমিও দেখেছি। ওই লেখা থেকেই অনুমান করা হয়, এটা মোঘল আমলের।
পরবর্তীতে আমরা দুইবার এর সংস্কার করেছি। এখন এর একটি বর্ধিত অংশও তৈরি হয়েছে। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য মসজিদটি সংরক্ষণের জন্য এখনো সরকারি কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।
মাগুরার জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম বলেন, জেলার প্রাচীন স্থাপনা হিসেবে এই মসজিদটি আমাদের তালিকাভুক্ত আছে। তালিকার সবগুলো স্থাপনা সংরক্ষণের জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত আছে।
একেএম/মোহাম্মদ মিলন/আরআই