সুনামগঞ্জ পৌরসভার মরাটিলা এলাকা থেকে মাহফুজা সাজনা রিক্তা (২৫) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রুমের দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

নিহত মাহফুজা সাজনা রিক্তা তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের সুলেমানপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার স্বামী দিরাই থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসিন্দা। রিক্তা তার দ্বিতীয় স্ত্রী। 

নিহতের পরিবারের দাবি, এসআই আমিরুল রিক্তাকে বিয়ে করায় পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকতো। যার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রথম স্ত্রী ও তার পরিবার দ্বিতীয় বিয়ের কথা জানার পর রিক্তাকে মানসিক যন্ত্রণা দিত প্রতিনিয়ত। সেই যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে রিক্তা।

নিহত রিক্তার চাচি শারমিন বেগম বলেন, এক বছর আগে রিক্তাকে বিয়ে করেছে আমিরুল। তখন সে জামালগঞ্জ থানায় চাকরি করত। রিক্তা সুনামগঞ্জে পড়াশোনা করত। তাদের মধ্যে পরিচয় থেকে প্রেম হয়। পরে দুজন বিয়ে করে। 

রিক্তার মা খালেদা বেগম বলেন, আমিরুল তার পরিবার ও প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে রিক্তাকে বিয়ে করায় পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকত। গত মঙ্গলবার রাতে রিক্তা বলেছে আমিরুলের পরিবার ও প্রথম স্ত্রী তাকে বকাবকি করেছে। হুমকি-ধমকি দিয়েছে। এ কারণেই রিক্তা আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেন তিনি।

নিহতের স্বামী এসআই আমিরুল দাবি করেন, স্ত্রীর সঙ্গে কোনো ঝামেলা ছিলো না তার। তবে প্রায়ই রাগ করে মোবাইল ফোন ভাঙতেন স্ত্রী। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে ভিডিও কলে রেখে আত্মহত্যা করার কথা জানিয়ে ফ্যানের সঙ্গে রশি দিয়ে ফাঁস লাগানো দেখান। পরে বাসার মালিককে ফোন করে বিষয়টি জানান তিনি। মালিক এসে বাসার দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন। পারেননি। পরে সুনামগঞ্জ সদর থানার পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ফাঁস লাগানো অবস্থায় মরদেহ দেখতে পায়। 

সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সকালে আমরা খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছি। নিহতের স্বামী দিরাই থানায় এসআই পদে কর্মরত আছেন। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি অধিক গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

আরএআর