ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় এক নারী ইউপি সদস্যকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (২ জুলাই) রাতে কয়েকজন যুবক তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় রোববার (৩ জুলাই) রাতে ভুক্তভোগী ওই নারী বোয়ালমারী থানায় একটি মামলা করেছেন।

মামলার বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল ওয়াহাব। 

নারী ইউপি সদস্যের করা ওই মামলায় সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৪ জুলাই) শারীরিক পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ফরিদপুরে পাঠানো হয়েছে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই নারী ইউপি সদস্য (৩৫) তার স্বামীর সঙ্গে শনিবার (২ জুলাই) বিকেলে পাশের বোয়ালমারী উপজেলার এক গ্রামে ছেলের জন্য পাত্রী দেখতে যান। পাত্রী দেখা শেষে সন্ধ্যার দিকে বাড়িতে ফেরার পথে অমৃতনগর বটতলা এলাকায় এলে সেখানে বসে থাকা কয়েকজন যুবক ওই ইউপি সদস্য ও তার স্বামীর পথরোধ করে।

এক পর্যায়ে ইউপি সদস্যের স্বামীকে মারধর করে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে এলাকাবাসী অসুস্থ অবস্থায় ওই নারী ইউপি সদস্যকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন।

এ ঘটনায় রোববার সকালে ওই নারী ইউপি সদস্য বোয়ালমারী থানায় গিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানান। দুপুরের দিকে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মাহাবুব আলম (৩০) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে। মাহাবুব বোয়ালমারী পৌরসভার রায়পুর মহল্লার বাসিন্দা। তিনি পেশায় মাইক্রোবাসের চালক।

বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল ওহাব বলেন, এ ঘটনায় মাহাবুব আলমসহ সাতজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন ওই নারী ইউপি সদস্য। আটক মাহাবুব আলমকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর বলেন, আদালতে মাহাবুব আলমকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। 

জহির হোসেন/আরআই