মেয়েকে জমির ভাগ দেওয়ায় ছেলের নির্যাতনে হাসপাতালে মা
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় জমি ভাগাভাগি নিয়ে ছেলের নির্যাতনে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন জহুরা বেগম (৬০) নামে এক বৃদ্ধা। গত বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) উপজেলার খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের কিসমতলালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী জহুরা বেগম কিসমত লালপুর গ্রামের তইজ উদ্দিনের স্ত্রী।
তইজ উদ্দিন বলেন, জমি ভাগাভাগি নিয়ে আমার ছোট ছেলে নবীউল ইসলাম বেশ কিছু দিন ধরে তার মাকে নির্যাতন করে আসছে। গত বুধবার (২৯ জুন) বিকেলে জহুরা বেগমকে বিভিন্ন গালমন্দসহ শারীরিকভাবে নির্যাতন করে নবীউল। ঘটনাটি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ সাংবাদিকদের জানালে ছেলে নবীউল আরও ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে জহুরা বেগমকে আবারও নির্যাতন করে। এতে আমার স্ত্রী জহুরা গুরুতর আহত হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আর আমি ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। বাসায় যেতে পারছি না। এ ঘটনায় জহুরা বেগম বাদী হয়ে ছেলে নবীউল ইসলামের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাতেই ফুলবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে।
বিজ্ঞাপন
নির্যাতনের শিকার জহুরা বেগম বলেন, জমি ভাগাভাগি নিয়ে প্রায়ই আমার সঙ্গে ঝগড়া লাগে আমার ছেলের। তার দাবি তার বোনকে কোনো জমির ভাগ দেওয়া হবে না। আমার মেয়েকে জমির ভাগ দেওয়ায় আমার ছেলে আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে এবং বাসা থেকে বের হয়ে মেয়ের বাড়িতে গিয়ে থাকতে বলেছে। এ ঘটনায় আমার ছেলের উপযুক্ত শাস্তির জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছি।
খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন, কয়েক দফা বিচার করেও বিষয়টি সমাধান করা যায়নি। বিচার করার পরও নবীউল ইসলাম বাবা-মায়ের ওপর অত্যাচার করেন।
ফুলবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন জহুরা বেগম। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই অভিযুক্ত ছেলে নবীউল ইসলামকে পুলিশ খুঁজছে। তিনি পলাতক রয়েছেন, তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ইমরান আলী সোহাগ/আরএআর