জিতুকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ, আগামীকাল বৃহৎ কর্মসূচি
সাভারের আশুলিয়ায় শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারের হত্যাকারীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবিতে ৩য় দিনের মতো বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কর্মসূচি পালন করেন হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এর আগে গতকাল বেলা ১১টার দিকে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা।
বিজ্ঞাপন
নিহত শিক্ষক উৎপল সরকার সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার এঙ্গেলদানি গ্রামের মৃত অজিত সরকারের ছেলে। তিনি প্রায় ১০ বছর ধরে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকার হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের, কলেজ শাখার রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক এবং শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আজকের মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আগামীকাল সবচেয়ে বৃহৎ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল সাভার উপজেলার সমস্ত স্কুল-কলেজ আনুষ্ঠানিক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কাল বেলা ১১টার দিকে সাভার উপজেলা চত্বরে উপজেলার সব স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে।
শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে আরও বলেন, ঘটনার দিন জিতু এলাকায় বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিয়েছে। স্যারের অবস্থার অবনতি হলে পরদিন জিতুর পরিবারসহ পালিয়ে যায়। ঘটনার দিন প্রমিলা ক্রিকেট ম্যাচের ৪ ওভারের মাথায় শিক্ষক উৎপলকে স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে জিতু। আমরা জিতুর ফাঁসি চাই।
এ ঘটনায় মামলা হলেও জিতুর বয়স দেখানো হয়েছে ১৬ বছর। কিন্তু জিতুর বয়স মূলত ১৬ বছর নয়। সে কয়েক বছর শিক্ষা বিরতি দিয়ে এই স্কুলে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে। এর আগে সে সাভারের একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করত। আমাদের দাবি জিতুর জন্ম সনদ খুঁজে তার বয়স তদন্ত করা হোক।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (২৫ জুন) দুপুরে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকায় হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে শিক্ষক উৎপলকে স্ট্যাম্প দিয়ে আঘাত করে তারই এক ছাত্র। পরে শিক্ষককে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সোমবার (২৭ জুন) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় রোববার আশুলিয়া থানায় নিহত শিক্ষকের ভাই বাদী হয়ে মামলা করেন। এর পর থেকেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকায় হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
মাহিদুল মাহিদ/আরআই