শর্ত সাপেক্ষে ঢাকা-শরীয়তপুর চালু হলো বিআরটিসি
আজ থেকে ঢাকা থেকে শরীয়তপুর রুটে বিআরটিসি বাস চলাচল শুরু হয়েছে। তবে সরকারি এ পরিবহনকে কয়েকটি শর্ত মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) সকাল ৮টায় বিআরটিসি প্রথম বাস ঢাকা থেকে ছেড়ে শরীয়তপুরে পৌঁছায় দুপুর ১২টায়। এরপর ১টার দিকে শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় বাস।
বিজ্ঞাপন
গতকাল সোমবার (২৭ জুন) বিকেল ৫টায় শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তখন এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
শর্তগুলোর মধ্যে থাকছে, ঢাকা-শরীয়তপুর রুটে বিআরটিসির ছয়টি বাস চলাচল করতে পারবে। এগুলো শরীয়তপুর শহর থেকে কোনো যাত্রী তুলতে পারবে না। শুধু উপজেলা শহর থেকে যাত্রী তুলতে পারবে।
এদিকে জেলায় দুটি মালিকানাধীন পরিবহন কোম্পানির বাস চলাচল শুরু করেছে। তবে এগুলোর যাত্রী পরিবহনের রোড পারমিট না থাকায় দ্রুত তা সংগ্রহের জন্য সভায় তাগাদা দেওয়া হয়েছে।
পরিবহনমালিক ও শ্রমিক সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরের দিন রোববার (২৬ জুন) ঢাকা থেকে শরীয়তপুরের উদ্দেশে আটটি বিআরটিসি বাস ছেড়ে আসে। এগুলো শরীয়তপুরের বাসস্ট্যান্ডে এলে আন্তজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক গ্রুপের নেতা-কর্মীরা আটকে রাখেন। এ সময় যাত্রীদের চলে যেতে বলা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এ নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পরিবহনমালিকরা বলছেন, পদ্মা সেতু চালু হবে, এমন ঘোষণার পর আমরা ২৫০টি নতুন বাস প্রস্তুত করি। গত রোববার থেকে জেলা আন্তজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির মালিকানাধীন শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস, পদ্মা ট্রাভেলস কোম্পানির ও শরীয়তপুর পরিবহনের ৩০টি বাস চলাচল শুরু করে। কিন্তু এই বাস কোম্পানির ঢাকা-শরীয়তপুর রুটে চালানোর অনুমতি নেই।
আন্তজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক গ্রুপের সভাপতি ফারুক আহম্মেদ তালুকদার বলেন, আমরা কয়েক বছর ধরে লোকসান গুনে আসছি। এ ছাড়া কোনো কোম্পানির বাস চলা শুরু করলে আমাদের সঙ্গে কথা বলে চালাতে হয়। কিন্তু তারা তা করেনি। আমরা চাই তারা আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করে বাস চালাক।
পদ্মা ট্রাভেলস কোম্পানির চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা মাওয়া-ঢাকা রুটে চালাচ্ছি। পদ্মা সেতু হওয়ায় আমরা এখন এই রুটে চালানো শুরু করেছি। ইতোমধ্যে রুট পারমিটের জন্য আমরা আবেদন করেছি।
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান বলেন, আমরা সভা করে বিষয়টি সমাধান করেছি। দুই পক্ষ সমাধানে রাজি হয়েছে।
সৈয়দ মেহেদী হাহাসান/এনএ