নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক সড়ক দেবে যান চলাচল বিঘ্নিত
নওগাঁর আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা নামক স্থানে নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক সড়কের আড়াই থেকে তিন ফুট অংশ দেবে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। শনিবার (২৫ জুন) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক সড়কের সাড়ে ৪৮ কিলোমিটার অংশের কাজ এখনো চলমান রয়েছে। তবে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা নামক স্থানে প্রায় দেড়শ ফুট জায়গা দেবে গেছে। এতে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়ে পড়েছে।
বিজ্ঞাপন
নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলে স্থানীয়রা জানান, সড়কটি নির্মাণের সময় পাশ থেকে গভীর করে মাটি কেটে উঁচু করা হয়েছিল। প্রায় দেড় বছর আগে সড়কটি পাকাকরণ এবং প্যালাসাইড দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নিম্নমানের কাজ হওয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি ধসে গেছে। দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশার সড়কটি দ্রুত সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষ বলছেন, কাজের কোনো অনিয়ম হয়নি। নিচের মাটি সরে যাওয়ায় সড়কটি দেবে গেছে।
জানা গেছে, নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক সড়কের সাড়ে ৪৮কিলোমিটার অংশ দুই ধাপে সম্পূর্ণ হচ্ছে। প্রথম ধাপে ২০০৭ সালে ৫০ কোটি টাকায় নওগাঁর ঢাকার মোড় থেকে নাটোরের নলডাঙ্গা পর্যন্ত অংশে মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়। যেখানে নওগাঁর অংশে ২৬ কিলোমিটারের মধ্যে সাড়ে ৭ কিলোমিটার এবং নাটোর অংশে সাড়ে ২২ কিলোমিটারের মধ্যে ১৬ কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণ করা হয়।
নতুন করে অর্থায়ন না হওয়ায় ২৩ কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণ হওয়ার পর হাইড্রোলজি সমীক্ষার নামে বন্ধ হয়ে যায় সড়কটির নির্মাণ কাজ। বাকি সাড়ে ২৫ কিলোমিটার সড়ক গোচারণভূমিতে পরিণত হয়েছিল। এরপর ২০১৭ সালে একনেকে অনুমোদনের পর ব্রিজ ও কালভার্টসহ সাড়ে ২৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ২০১ কোটি ২৯ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজেদুর রহমান বলেন, সড়কের নিচের অংশের মাটি সরে যাওয়ায় মূল সড়কটি দেবে গেছে। ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
প্রসঙ্গত, আঞ্চলিক সড়কটির কাজ সম্পূর্ণ হলে একদিকে যেমন যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে, তেমনি অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এসপি