আ.লীগ নেতাকে মেরে রক্তাক্ত করলেন ভাইস চেয়ারম্যান
পাবনার ফরিদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আশরাফুল কবীরকে (৪৮) দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ফরিদপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম কুদ্দুসের বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৫ জুন) রাত ১০টার দিকে ফরিদপুর বাজারে বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজউদ্দিন খান মুক্তমঞ্চে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান চলার সময় পাশের চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
ফরিদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য রুবেল রানা জানান, কবীর ভাই দোকানে চা পান করছিলেন। এ সময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম কুদ্দুস, তার ছেলে রাতুল ও মনছুরসহ কয়েকজনকে নিয়ে সেখানে আসেন। আলী আশরাফুল জানতে চান, কেন এই আয়োজনে তিনি অংশগ্রহণ করেননি? এ সময় ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, রাজাকারের প্রোগ্রামে কেন আসব? এসব নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তার দলবল নিয়ে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। এতে আলী আশরাফুল মাথায় আঘাত পান। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগী ফরিদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আশরাফুল কবীর বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে না আসার বিষয়ে জানতে চাইলে ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, তোমাদের অনুষ্ঠানে আমরা যাব কেন? তোমরা রাজাকার। রাজাকারের অনুষ্ঠানে আমরা যাই না। এরপর কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তিনি এবং তার ছেলেরা চাপাতি দিয়ে আমার মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। আমি এখন হাসপাতালে ভর্তি আছি।
মারপিটের কথা স্বীকার করে ফরিদপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম কুদ্দুস জানান, অনুষ্ঠান স্থলের পাশে একটি দোকানে চা খাচ্ছিলাম। একটা বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সে আমাকে শার্টের কলার চেপে ধরলে, আমার ছেলেপেলে তাকে কিল-ঘুষি মারে। এতে মাটিতে পড়েরে গিয়ে তার মাথা কেটে যায়।
ফরিদপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, অনুষ্ঠান স্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছিল, পুলিশ দ্রুত বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে। তাই বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। অভিযুক্তদের দ্রুত আটক করা হবে। এ বিষয়ে কেউ থানায় এখনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
রাকিব হাসনাত/এসপি