পরকীয়া না করার শর্তে স্ত্রীর কাছে ৬ লাখ টাকা দাবি
পরকীয়া প্রেমে না জড়ানোর শর্তে স্ত্রীর কাছে ৬ লাখ টাকা দাবি করার অভিযোগে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় মো. রাজু নামে এক যুবককে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বুধবার (২২ জুন) দুপুরে বিজ্ঞ আদালত ওই যুবককে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
রাজু ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানার চরযমুনা গ্রামের খোরশেদের ছেলে। তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস উপজেলার দুলারহাট থানার চরতোফাজ্জল গ্রামের জাহাঙ্গীরের মেয়ে।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, রাজুর সঙ্গে জান্নাতের ৮ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের ছয় বছর বয়সের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের কিছু দিন পর রাজু অন্য এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়েন। জান্নাত প্রতিবাদ করলে তাকে একাধিকবার মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে অন্য নারীর সঙ্গে প্রেমে জড়াবেন না এমন শর্তে রাজু ৬ লাখ টাকা দাবি করেন জান্নাতের কাছে।
জান্নাত টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় প্রায়ই রাজু তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন। গত ৪ এপ্রিল যৌতুকের টাকার দাবিতে দুলারহাট বাজারে একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে আটকে শারীরিক নির্যাতন চালান রাজু। খবর পেয়ে জান্নাতের বাবার বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করেন।
জান্নাত সুস্থ্ হয়ে দুলারহাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পায় পুলিশ। পরে ১৫ জুন জান্নাত বাদী হয়ে দুলারহাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। মামলার ভিত্তিতে মঙ্গলবার (২১ জুন) ঢাকার গাজীপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজুর স্ত্রী জান্নাত বলেন, রাজু বিয়ের পর থেকে বিভিন্নভাবে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক আনতে বলত। যৌতুকের টাকা না আনতে পারায় আমাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করত। এক পর্যায়ে রাজু এক মেয়ের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়েয়ে পরে। তাকে বাধা দিলে আমার কাছে ৬ লাখ টাকা দাবি করেন ওই প্রেম থেকে সরে আসার জন্য। টাকা দিতে পারিনি বলে আমার ওপর নির্যাতন শুরু করেন। আমি সহ্য করতে না পেরে থানায় মামলা করেছি। এখন যদি একটু ঠিক হয়।
দুলারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদ হোসেন জানান, স্ত্রীর মামলার ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ঢাকার গাজীপুর থেকে রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুলারহাট থানার পুলিশের মাধ্যমে বুধবার চরফ্যাশন আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক কারাগারে তাকে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ইমতিয়াজুর রহমান/আরআই