বগুড়ায় নিম্নাঞ্চলে বন্যা, ২৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও প্রবল বৃষ্টিপাতে জেলার সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার সারিয়াকান্দি, ধুনট ও সোনাতলা উপজেলার নিম্নাঞ্চলের লোকালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।
ওই সব ঘর-বাড়ি থেকে মালামাল ও মানুষ সরিয়ে নিয়ে বাঁধে আশ্রয় নিচ্ছে। রোববার সন্ধ্যা ৬টায় যমুনার মথুরাপাড়া স্টেশনে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ১৭ দশমিক ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
বিজ্ঞাপন
এ পয়েন্টে যমুনা নদীর বিপৎসীমা ১৬ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এবার বন্যার শুরুতেই ২৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিস।
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ফসলি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নতুন নতুন এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। বন্যা কবলিত এলাকার লোকজন তাদের প্রয়োজনীয় মালামাল ও গবাদি পশু সরিয়ে নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছে। দেখা দিয়েছে শুকনা খাবারসহ গো-খাদ্যের সংকট।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার গোলাম কবির জানান, উপজেলায় ২৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এসব বিদ্যালয়ে ভ্রাম্যমাণভাবে উঁচু বাঁধের ওপর পাঠদান পরিচালনা করছে।
এদিকে, উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল হালিম জানান, ৫৫০ হেক্টর জমির পাট, ১৭০ হেক্টর আউশ, ২ হেক্টর ভুট্টা এবং ৪ হেক্টর জমির সবজি বন্যার পানিতে আক্রান্ত হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১টি পৌরসভা এবং ৯টি ইউনিয়নের ৮৭টি গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলের পানিতে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। জেলার সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার নিম্নাঞ্চলের লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। আরও পানি বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আলমগীর হোসেন/এমএএস