চাঁদপুরে মতলব উত্তরে বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে আরও ১৩ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১৫ জুন) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময়ে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে মঙ্গলবার অন্তত ২০ জন কুকুর কামড় দিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামান জুয়েল।

মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের রেজিস্টার থেকে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেল থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে ৩৩ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

আহতদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- বালুচর গ্রামের জেসমিন (৪৫), আদুরভিটি গ্রামের লামিয়া (৮), সাইদুল ইসলাম (১৭), মলিনা বেগম (৬৫), দেওয়ানজিকান্দি গ্রামের শারমিন (২৫), রহিমা বেগম (৫২), পাঁচগাছিয়া গ্রামের মো. শাহিন (৩০), ফতেরকান্দির আবদুল্লাহ (৩), জীবগাঁও গ্রামের মরিয়ম (৬০), জজনগরের আসমা (৪০), নিজ ছেংগারচরের তুফরা বেগম (৬০), খোকন (৪০) ও ব্র্যাক কর্মকর্তা মো. কিবরিয়া।

আসমা বেগমের হাতের আঙুল কুকুর কামড়ে নিয়ে যাওয়ায় তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে, জুনাইদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে এবং তৃপ্তি আক্তার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পৌর শহরের বাসিন্দা জেসমিন বেগম জানান, বুধবার সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে রাস্তায় হাঁটতে গেলে পেছন থেকে একটি কুকুর এসে হঠাৎ পা কামড়ে ধরে। পরে এলাকার লোকজন এসে ধাওয়া দিলে কুকুর পালিয়ে যায়। 

আট বছরের শিশু লামিয়ার বাবা বলেন, বুধবার বাড়ির পাশে বসে খেলার সময় একটি কুকুর এসে লামিয়াকে কামড়ে শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষতবিক্ষত করে দেয়। এ সময় লামিয়ার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে রক্ষা করে। আশপাশের লোকজন না থাকলে কুকুরের হাত থেকে মেয়েকে বাঁচানো যেত না।

মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, গত দুই দিনে মতলব উত্তর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। 

মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল হাসান জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী কুকুর নিধন দণ্ডনীয় অপরাধ। সেক্ষেত্রে জলাতঙ্ক ভ্যাকসিন প্রদানের মাধ্যমে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তাই শিগগিরই পৌরসভা ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠক ডেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আলোচনা করে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা হবে।
 
এসপি