নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মসজিদে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মির্জা শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। 

শনিবার (১১ জুন) রাতে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১২০-১২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি (মামলা নং-১৭) দায়ের করা হয়েছে। 

মামলা দায়েরর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক মশিউর রহমান।

মামলা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১০ জুন) আদমজী শাহী জামে মসজিদে জুম্মার নামাজের খুতবার সময় ইমামের অনুমতি নিয়ে মহানবী (সা.) কে নিয়ে মর্যাদাহানি প্রসঙ্গে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই সৈয়দ আজিজুল হক একটি বক্তব্য দেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ভারতে ঘটনা ঘটেছে সেটি ভারতেই থাকুক। এই বিষয়টি নিয়ে যেন বিশৃঙ্খলা বা নৈরাজ্য সৃষ্টি না হয়। এ বক্তব্যের জের ধরে সেই সময় মসজিদে থাকা কিছু যুবক তার ওপর দফায় দফায় হামলা চালায়।

মামলার অভিযোগপত্রের বরাতে জানা যায়, সৈয়দ আজিজুল হক ওই এলাকার ৬ নং বিট পুলিশিংয়ের ইনচার্জ হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। এর আগে ওই এলাকায় তিনি বেশ কিছুদিন যাবত মাদক, কিশোর গ্যাং বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। মামলায় উল্লেখিত এবং অজ্ঞাতনামা আসামিরা পূর্ব আক্রোশের জের এই ঘটনা ঘটায় বলে দাবি করা হয়েছে।  

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. মশিউর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় রাতে থানায় একটি মামলা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোন গ্রেপ্তার নেই। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। 

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১০ জুন) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক সৈয়দ আজিজুল হক মুসল্লিদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি বলেন, নবীকে নিয়ে কটূক্তি করা হয়েছে ভারতে। ভারতের বিষয় ভারতে থাকুক। এ নিয়ে আমরা নিজেদের দেশে বিশৃঙ্খলা না করি। এ কথা শুনে মুসুল্লিরা ক্ষুব্ধ হলে প্রথমে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা জুতা নিক্ষেপ করে। পরে তার ওপর হামলা চালিয়ে গণধোলাই দেন মুসুল্লিরা। এসময় তাকে রক্ষা করতে গিয়ে দৈনিক মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার ও মসজিদের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন রবিন ও মসজিদ কমিটির সভাপতি হাকীম মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীনও আহত হয়। পরে তারা তাকে উদ্ধার করে মসজিদ কমিটির সভাপতির বাসায় নিয়ে গেলে সেখানেও হামলা চালায় উত্তেজিত মুসুল্লিরা।

আবির শিকদার/এসকেডি