শ্বশুরবাড়িতে মৃত্যু, ৪ মাস পর কবর থেকে তোলা হলো যুবকের মরদেহ
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে দাফনের চার মাস পর আদালতের নির্দেশে নজরুল ইসলাম (৩২) নামে এক যুবকের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ছেলেকে হত্যার অভিযোগে মায়ের করা মামলায় বৃহস্পতিবার (৯ জুন) দুপুরে শমশেরনগর বড়চেগ এলাকার বিক্রমপুর কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।
নজরুল ইসলাম কমলগঞ্জের শমশেরনগর ইউনিয়নের দাইরদেউল গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মহব্বত উল্ল্যার ছেলে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে উত্তোলন করা হয়। পরে মরদেহ মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
নিহত নজরুল ইসলামের ভাই বদরুল ইসলাম জানান, তার ভাইকে স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। নজরুল আলিনগর ইউনিয়নের চিতলিয়া গ্রামের রঙ্গু মিয়ার মেয়ে মশকুরা বেগমকে বিয়ে করেন। গত ২৭ জানুয়ারি নজরুল তার শ্বশুরবাড়িতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান। ১ ফ্রেব্রুয়ারি শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাদের বাড়িতে খবর দেন দাঁতের ব্যথায় নজরুল মারা গেছেন। পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয় নজরুলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
ছেলেকে হত্যার অভিযোগ এনে গত ১৮ মে নিহত নজরুলের মা নূরজাহান বেগম বাদী হয়ে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন। কোনো ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ দাফন করা হয়েছে- এমন অভিযোগ করা হলে মরদেহ উত্তোলন করে ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। আদালেতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অর্ণব মালাকারের উপস্থিতিতে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোশাররফ হোসেনসহ সঙ্গীয় ফোর্স মরদেহ উত্তোলন করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোশাররফ হোসেন জানান, আদালতের নির্দেশনা পেয়ে নিহত নজরুল ইসলামের মরদেহ উত্তোলন করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওমর ফারুক নাঈম/আরএআর