আখাউড়া স্থলবন্দরে পড়ে আছে ভারত থেকে আসা ১০০ টন ‘পচা গম’
ভারত থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে আসা অন্তত ১০০ টন গম পচে গেছে। এসব পচা গম নিয়ে বিপাকে পড়েছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ও আখাউড়া স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। গত মে মাসের শেষ দিকে এসব গমের চালান আখাউড়া স্থলবন্দরে এসে পৌঁছায়।
জানা গেছে, প্রতি টন ৩৪৫ মার্কিন ডলার মূল্যে গমগুলো আমদানি করে চট্টগ্রামের এম আলম গ্রুপ। গম রপ্তানিতে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞা জারির আগে এসব গম আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছিল। গত মার্চ থেকেই আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে গম আমদানি করছে এম আলম গ্রুপ। এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার টন গম আমদানি করেছে তারা।
বিজ্ঞাপন
পচা গম খালাসে বিলম্ব হওয়ায় বন্দরের ওয়্যারহাউসে সংরক্ষণ করে রাখা হচ্ছে। তবে ভারত থেকেই কি পচা গম এসেছে, নাকি বন্দরে পড়ে থেকে পচেছে- সেটি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিনের দাবি, খালাসের অপেক্ষায় বেশ কিছু দিন ধরে স্থলবন্দরে পড়ে থাকার কারণে বৃষ্টিতে ভিজে কিছু গম নষ্ট হয়েছে। বিষয়টি আমদানি ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান নিজেরা আলোচনা করে সমাধান করবে।
পচা গমের বিষয়টি নিয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি।
আমদানি করা গমের কাস্টমস ক্লিয়ারিং করা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী আক্তার হোসেন জানান, গাড়ি বন্দরে আসার পর চালকরা ঠিকমতো ঢাকেনি গমগুলো। সেজন্য বৃষ্টিতে ভিজে ১০০ টনের মতো গম পচে গেছে। বিষয়টি নিয়ে আমদানি ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কথা বলছে।
তবে আখাউড়া স্থলবন্দরের পরিদর্শক (ট্রাফিক) মো. জাকির হোসেন বলেন, বন্দরে পড়ে থেকে নয়, বরং ভারত থেকেই এসব পচা গম এসেছে। এটি তদারকির দায়িত্ব ছিল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের। তাছাড়া আমদানি পণ্যের গাড়ি খুলে পণ্য দেখার সুযোগ আমাদের নেই।
আজিজুল সঞ্চয়/এসপি