মো. আব্দুল মনির হোসেন বিএম কনটেইনার ডিপোতে এফএলটি অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। শনিবার রাতে অগ্নিকাণ্ডের সময় ফোনে বাড়িতে কথা বলছিলেন। তখন একটু পরপর হচ্ছিল বিস্ফোরণ। এক পর্যায়ে বেঁচে থাকলে পরে কথা হবে বলে ফোনের লাইন কেটে দেন। এরপর থেকে আর যোগাযোগ করতে পারেনি পরিবারের লোকজন। 

ঘটনার পর থেকে বিএম কনটেইনার ডিপো ছাড়াও সীতাকুণ্ড হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও খোঁজ নিয়েছেন। কিন্তু কোথাও আব্দুল মনির হোসেনের সন্ধান পায়নি পরিবার। 

এদিকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে নিখোঁজ মনির হোসেনের সন্ধানে ব্যানার নিয়ে দাঁড়ান তার ভাই মোহাম্মদ আলমগীর। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘বিএম কনটেইনার ডিপোতে এফএলটি অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন আমার ভাই। অগ্নিকাণ্ডের খবর রাতেই বাড়িতে জানিয়েছিলেন তিনি। কথা বলার একটা পর্যায়ে ফোনের লাইন কেটে দেন। শেষ কথা বলেন, বেঁচে থাকলে পরে দেখা হবে। পরে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। আমি চট্টগ্রামে এসে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ করেও ভাইয়ের সন্ধান পাইনি। তার কী পরিণতি হয়েছে জানি না। অন্তত আমার ভাইয়ের লাশটা এনে দেন। কিছুটা শান্তি লাগবে।’ 

আলমগীর জানান, সোমবার তিনি ডিএনএ নমুনা দিয়েছেন। 

প্রসঙ্গত, শনিবার (০৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ দুর্ঘটনায় ৪১ জন নিহত ও ২৩০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২৬টি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শনাক্ত করা যায়নি ১৫টি মরদেহ। আহতদের মধ্যে ১০ জন পুলিশ এবং ১৫ জন ফায়ার সার্ভিস সদস্য রয়েছে।

আরএইচ/এসপি