বগুড়ায় এক নারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে খুন হয় ১৬ বছর বয়সী কিশোর রাকিব হাসান। এ ঘটনায় এক কিশোরসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার (৪ জুন) সকালে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হিয়াতপুর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে- হিয়াতপুর গ্রামের ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর ও একই এলাকার আহসান হাবীব সজীব (২০)। শনিবার (৪ জুন) বিকেলে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হলে সজীব ১৬৪ ধারায় হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। 

রোববার (৫ জুন) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে বগুড়া পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। 

তিনি আরও জানান, বগুড়ার সোনাতলার লাহিড়ীপাড়া গ্রামে গত ৩ জুন বেলা ১১টার দিকে অজ্ঞাত এক কিশোরের মরদেহ পাওয়া যায়। পরে জানা যায় সেই কিশোরের বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হিয়াতপুর গ্রামে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বেলাল হোসেন সোনাতলা থানায় হত্যা মামলা করেন।

পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার জানান, নিহত রাকিব ও গ্রেপ্তার দুইজনের বাড়ি একই এলাকায়। তাদের মধ্যে ঘনিষ্ট বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। গত ৩১ মে সজীব বন্ধু রাকিবকে জানান, এক মেয়েকে টাকার বিনিময়ে শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্য সোনাতলার চমরগাছা লাহিড়ীপাড়া এলাকার পতিত জমিতে নিয়ে আসা হবে। কথা অনুযায়ী ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে সজীব, রাকিব ও আরেক কিশোর সোনাতলার ওই এলাকায় যায়। সেখানে পৌঁছে সজীব ও রাকিবের মধ্যে কে আগে শারীরিকভাবে ঘনিষ্ট হবে এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে সজীব একটি লাঠি দিয়ে রাকিবের মাথায় আঘাত করেন। আঘাত পেয়ে রাকিব মাঠিতে লুটিয়ে পড়লে এলোপাতাড়িভাবে তার মাথায় আরও কয়েকবার আঘাত করা হয়।

পরে রাকিবকে ডাক দিলে সে সাড়া দেয় না। একপর্যায়ে রাকিবের গলা চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করেন সজীব। পরে মরদহটি টেনেহিঁচড়ে একটি ডোবায় ফেলে ও কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে দেন। 

বগুড়া পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন বলেন, কিশোর রাকিবের মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে তদন্তে নামে পিবিআই। পরে স্থানীয়ভাবে নানারকম তথ্য-উপাত্ত ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়।

আরএআর