অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়, কিশোর গ্যাংয়ের ৪ সদস্য আটক
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে সিরাজুল ইসলাম (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের চার সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বুধবার (১ জুন) দিনগত রাতে কবিরহাট উপজেলার ভাটইয়া ইউনিয়ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
এ সময় মুক্তিপণ বাবদ আদায়কৃত নগদ ৩০ হাজার টাকা, ৫টি মোবাইল ও ৮টি সিম উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
আটকরা হলেন কবিরহাট উপজেলার ভাটইয়া ইউনিয়নের মোস্তফা মিয়ার নতুন বাড়ির মৃত মোস্তফা কামালের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২০), ফেরদৌস কোরাইশী প্রকাশ অভি (১৮), অজি উল্যাহ মুন্সীর নতুন বাড়ির আনোয়ার হোসেন প্রকাশ একরাম (১৮) ও কালাম সর্দার বাড়ির আবুল বাশারের ছেলে রেদোয়ান আহম্মেদ প্রকাশ নাঈম (১৮)।
র্যাব ১১ সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ মে সন্ধ্যায় বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী আমানিয়া হোটেলের সামনে থেকে আটক কিশোর গ্যাং সদস্যরা মো. সিরাজুল ইসলামকে মুখ চেপে ধরে সিএনজিতে তুলে নিয়ে অপহরণ করে। পরে তারা ভুক্তভোগীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও পকেট থেকে নগদ ১৪ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে নেয়।
এরপরে ভুক্তভোগীর স্ত্রী সামছুন্নাহারের কাছ থেকে মুক্তিপণ বাবদ ১ লাখ টাকা দাবি করলে ৩০ হাজার টাকা আদায় করে বেগমগঞ্জ থানার চৌমুহনী চৌ-রাস্তা জামে মসজিদের সামনে সিরাজুল ইসলামকে রেখে চলে যায়। ৩১ মে রাতে ভুক্তভোগীর স্ত্রী সামছুন্নাহার র্যাব-১১ সিপিসি-৩ এর নোয়াখালী ক্যাম্পে অভিযোগ করেন।
র্যাব-১১ এর সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আটক কিশোর গ্যাং সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে নোয়াখালীর কবিরহাটের বাটইয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণারটেক ও ভূঁইয়ারহাট এলাকায় দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে চাঁদাবাজি, অপহরণ, নাশকতা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে আসছিল। এ ছাড়া এলাকায় বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তারা পেশি শক্তিও প্রদর্শন করে থাকে।
খন্দকার মো. শামীম হোসেন আরও বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বেগমগঞ্জ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখানে একটি মামলা করা হয়েছে। সে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ (২ জুন) বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট আরও ৩ জন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
হাসিব আল আমিন/আরআই