এক সপ্তাহের মধ্যে আলো জ্বলবে পদ্মা সেতুতে
পদ্মা সেতুতে এখন চলছে সাইন, সংকেত ও সীমানা দেয়ালের ওপর স্টিলের রেলিং বসানোর কাজ। আর এক সপ্তাহের মধ্যে সেতুতে আলো জ্বলবে। সে লক্ষে কাজ করছেন সেতু বিভাগের প্রকৌশলীরা (বিদ্যুৎ)।
সেতু ও পল্লী বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতুতে মোট ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট (সড়ক বাতি) বসানো হয়েছে। এর মধ্যে জাজিরা প্রান্তে ৪৬, মাওয়া প্রান্তে ৪১টি ও মূল সেতুতে ৩২৮টি ল্যাম্পপোস্ট বসানো হয়েছে। গত ১৮ এপ্রিল ল্যাম্পপোস্টগুলোতে বাতি লাগানো শেষ হয়। এরপর থেকে বাতিগুলোতে ক্যাবল লাগানো হয়। ক্যাবল লাগাতে আরও তিন থেকে চার দিন সময় লাগতে পারে। বাতিগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য শরীয়তপুর ও মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বরাবর চিঠি দেয় সেতু কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞাপন
এর পরিপ্রেক্ষিতে সেতুর ৪২ নম্বর পিলারের সাবস্টেশনে গত ২৪ মে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। জেলা সাবস্টেশন থেকে ক্যাবলের মাধ্যমে ৮০ কিলোওয়াট বিদ্যুতের ক্যাবল সেতুর ৪২ নম্বর পিলারের কাছে এনে রাখা হয়। পদ্মা সেতুতে ল্যাম্পপোস্টে সংযোগ দেওয়ার জন্য আটটি ফিডার স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি মেইন ফিডার ও চারটি সাবফিডার রয়েছে।
ল্যাম্পপোস্ট ছাড়াও জাতীয় দিবস, ঈদ ও পূজাসহ বিভিন্ন উৎসবের নকশা করে লাইট জ্বালানো হবে। আগামী কোরবানির ঈদের আগে আর্কিটেকচারাল লাইটিংয়ের কাজ শেষ করা হবে।
সেতু বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী সাদ্দাম হোসেন বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ থেকে সেতুর সাবস্টেশনে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হয়েছে। ওই সংযোগ এখনো সেতুর ওপরে আনা হয়নি। এখন ল্যাম্পপোস্টগুলোতে ক্যাবল লাগানোর কাজ চলছে। তা শেষ হতে চার-পাঁচ দিন সময় লাগবে। কাজ শেষ হলেই লাইট জ্বালানো শুরু হবে।
শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক মো. জুলফিকার রহমান মুঠোফোনে ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের চিঠির মাধ্যমে পদ্মা সেতুর ল্যাম্পপোস্টে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য বলা হয়। আমরা তা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পদ্মা সেতুর ল্যাম্পপোস্টে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শুরু করে দেই। আমাদের পাওয়ার স্টেশন থেকে ৪২ নং পিলারের কাছে সংযোগ তার লাগিয়েছি। এখন তারা তাদের মতো করে কাজ করবে। তবে কবে নাগাদ বিদ্যুৎ লাইন লাগানো হবে তা জানা নেই।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত মাসে পদ্মা সেতুতে পিচ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। সেতুটি উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই সম্পূর্ণ সেতু প্রস্তুতির জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ম্যুরাল ও ফলক নির্মাণের কাজ চলছে দুই পাড়েই। এছাড়া ফোয়ারা ও ইলিশের ভাস্কর্যের কাজ চলছে। বসানো হচ্ছে ট্রাকের ওজন মাপার মেশিন।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এসপি