পদ্মা সেতু উদ্বোধন হচ্ছে ২৫ জুন। সেতু চালু হওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলে চাপ বাড়বে। এ চাপ সামলাতে এই অঞ্চলের মানুষ প্রস্তুত কি না, এমন প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, আমি এ বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। দক্ষিণাঞ্চলে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা। কুয়াকাটা, সুন্দরবন তার মধ্যে অন্যতম। কিন্তু আমরা যদি সেভাবে উদ্যোগ গ্রহণ না করি তাহলে এর সুফল নিয়ে যাবে অন্যরা।

বুধবার (১ জুুন) দুপুরে বরিশাল শিল্পকলা একাডেমিতে ই-কমার্স প্রশিক্ষণ সমাপনী ও সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, দূর থেকে একজন মানুষ গাড়ি চালিয়ে এসে হয়তো বরিশালে দুপুরের খাবার খাবেন। কিন্তু তার কি উপযোগী কোনো ব্যবস্থা রয়েছে? বরিশালের কাছেই ঝালকাঠিতে পেয়ারা বাগান, ভাসমান বাজার রয়েছে। এই সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে আমরা কিন্তু থাইল্যান্ডের মতো তৈরি করতে পারি। কিন্তু বাস্তবতা হলো বরিশালের মানুষের আগ্রহ-উদ্যম কম, অলস।

এক সময়ে বরিশালের মানুষ জমিতে একবার ফসল ফলাতো, তা দিয়ে সারাবছর চলতো। তাছাড়া এই অঞ্চলের মানুষের হাঁটাচলা দেখবেন, তাতে গতি নেই। অথচ উত্তরাঞ্চলের মানুষের হাটাচলায় যে গতি তা দেখলে উদ্যমী হতে হয়। বরিশালে অনেক জমি পতিত রয়েছে, অথচ উত্তারাঞ্চলের মানুষ একই জমি ব্যবহার করে ৩/৪ বার ফসল উত্তোলন করছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর যে সময় আসছে সেখানে আপনাকে কাজ করতে হবে। এই কাজ আপনি বাসায় বসেও করতে পারবেন। ই-কমার্স প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সেটি সম্ভব।

ই-কমার্সের মাধ্যমে বরিশালের যে জিনিসগুলো রয়েছে যেমন, আমড়া, পেয়ারা, মাছ, পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে হবে। এসবকে কেন্দ্র করে যদি একটি ইকোসিস্টেম ডেভেলপ করতে পারি তাহলেই আমরা এগিয়ে যেতে পারব।

এএইচএম সফিকুজ্জামান আরও বলেন, আমাদের যে নদীগুলো রয়েছে সেখানে ক্রুজের ব্যবস্থা করতে পারি। সারা বিশ্বে এই ব্যবস্থা রয়েছে। বুড়িগঙ্গা নদী নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু কীর্তনখোলায় সন্ধ্যাকালীন ক্রুজের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। সরকার এই অঞ্চল, দেশকে উন্নয়নের শীর্ষে নিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং এখনই কাজ শুরু না করলে প্রতিটি মুহূর্তই কিন্তু অতীত হয়ে যাচ্ছে। এ জন্য আপনাদের উদ্যোগ নিতে হবে।

জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দারের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে শতাধিক প্রশিক্ষণার্থীর হাতে সনদ তুলে দেওয়া হয়। 

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই