নোয়াখালীতে পাঁচ ব্যক্তির ৩৮ বছরের কারাদণ্ড
নোয়াখালীতে পাঁচ ব্যক্তিকে পৃথক পৃথক ধারায় ৩৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৪ কোটি ৪৭ লাখ ৭২ হাজার ৭৮৪ টাকার অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
চাটখিল উপজেলায় পপুলার মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামে একটি সমিতি স্থাপন করে সদস্যদের আমানত ও শেয়ার মূলধন আত্মসাতের দায়ে এ সাজা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
রোববার (২৯ মে) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে নোয়াখালী জেলা স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান এ রায় প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সমিতির চেয়ারম্যান সোনাইমুড়ী উপজেলার মাহুতলা গ্রামের আবদুল হাইয়ের ছেলে আবদুর রব হেলাল, সমিতির সহ-সভাপতি চাটখিল উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত হাজী নুরুজ্জামানের ছেল আমিন উল্যাহ, সমিতির সেক্রেটারি সোনাইমুড়ী উপজেলার কেগনারখিল গ্রামের ইদ্রীস মিয়ার ছেলে সফিউল আলম, তার স্ত্রী সমিতির সদস্য সুলতানা পারভিন ও সমিতির সদস্য চাটখিল উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের আমিন উল্যার স্ত্রী উম্মে কুলসুম।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্র জানায়, আসামি আব্দুর রব হেলাল গং পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণামূলকভাবে পপুলার মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের নামীয় সমিতি স্থাপন করে সদস্যদের কাছ থেকে আমানত এবং শেয়ার মূলধন বাবদ এক কোটি ৫৮ লাখ ৪৬৭ টাকা আত্মসাৎ পূর্বক স্থানান্তর-হস্তান্তর ও রূপান্তর করে।
সমিতির সদস্যদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ২০১৮ সালে দুদকের নোয়াখালী কার্যালয়ে বর্তমান সহকারী পরিচালক সুবেল আহাম্মেদ বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে চাটখিল থানায় একটি বিশেষ মামলা করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম বলেন, দুপুর পৌনে ৩টার দিকে মামলার শুনানি শেষে বিচারক রায় দেওয়ার সময় মামলার প্রধান আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি চার আসামি পলাতক রয়েছেন।
দুদকের পিপি আরো জানান, সকল ধারার সাজা এক সঙ্গে চলায় মামলার প্রধান আসামিকে ১০ বছর সাজা খাটতে হবে এবং পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের দিন থেকে ৭ বছর সাজা খাটতে হবে।
হাসিব আল আমিন/এমএএস