ভারত-বাংলাদেশের দুই আদালতে পি কে হালদারের বিচার হবে
ভারতে গ্রেপ্তার হওয়া প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) দেশে ফিরিয়ে আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান।
শুক্রবার (২৭ মে) সকালে মাদারীপুরের পাঁচখোলা এলাকায় ড. মোজাম্মেল হক খান কলেজে দুর্নীতিবিরোধী আন্তঃকলেজ মডেল বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
বিজ্ঞাপন
দুদক কমিশনার বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের দুই আদালতে পি কে হালদারের বিচার হবে। কারণ পি কে হালদার বাংলাদেশের নাগরিক, দেশের অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত, অর্থপাচার কর্মকাণ্ডের মহানায়ক। ইতোমধ্যে পি কে হালদারের কয়েকজন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ৩৫টি মামলা হয়েছে। পি কে হালদারের সহযোগীরা অর্থপাচারের বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে আমরা আইনিভাবে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তাকে দেশে এনে আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারলে আরও অজানা তথ্য বের হয়ে আসবে। এসব তথ্য মামলা নিষ্পত্তি করতে সহায়তা করবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দুর্নীতি দমন কমিশনের কাজ হচ্ছে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও প্রতিকার করা। আমরা মূলত প্রতিরোধের ব্যাপারে বেশি গুরুত্বারোপ করে থাকি। যখন কোনো অর্থপাচারের অভিযোগ আসে সঙ্গে সঙ্গে এসব ঘটনায় জড়িতদের নামের তালিকা করা হয়। সব সময় এসব অপরাধীদের নামের তালিকা আপডেট হচ্ছে। যারা দেশের টাকা পাচার করেছে এবং করছে তাদের নামের তালিকা করা হচ্ছে। এগুলো যারা করে দেশের বাহিরে পালিয়ে গিয়েছে , সে সকল অপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।
ড. মোজাম্মেল হক খান বলেন, শিক্ষার্থীদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সজাগ থাকার জন্য, সোচ্চার হওয়ার জন্য, দুর্নীতিবিরোধী মনোভাব তৈরি করার জন্য একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। শিক্ষার্থীদের মস্তিষ্কের মধ্যে যদি দুর্নীতিবিরোধী চিন্তাধারা প্রবেশ করে তাহলে তারা ভবিষ্যতে কর্মক্ষেত্রে নিজেদের দুর্নীতিমুক্ত রাখতে পারবে। প্রতিযোগিতা শুরুর আগে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। কর্মশালা পরিচালনা করেন দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাদের বিতর্ক প্রতিযোগিতায় দক্ষতা ও সুনাম রয়েছে সে সব গুণীজন। কর্মশালা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় জেলার ৪৮টি কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
এ সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক (আইসিটি ও প্রশিক্ষণ) এ কে এম সোহেল, ঢাকা বিভাগের পরিচালক মো. আক্তার হোসেন, ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশনের চেয়ারম্যান এ কে এম শোয়েব, মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, ড. মোজাম্মেল হক খান কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবদুল হালিম, মাদারীপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রীনিবাস, মাদারীপুর দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. আতিকুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাইনউদ্দিনসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নাজমুল মোড়ল/আরএআর